মানিকগঞ্জে স্কুল শিক্ষকসহ পরিবারের ৩ সদস্যকে কুপিয়ে জখম

আহত কলেজ শিক্ষক নবীনূর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক নবীনূর রহমানসহ তার পরিবারের তিন সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছেন প্রতিবেশীরা। 

আজ দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাগজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত অপর দুজন হলেন, নবীনূর রহমানের বড় ভাই ঢাকায় তেজগাঁও বিজিপ্রেসে কর্মরত মোবারক হোসেন ও ভাতিজা কলেজছাত্র মাহিন আশরাফ জোহাস।

মোবারক হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নবীনূর রহমান ও মাহিন আশরাফকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহরিন গীতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মারামারির ঘটনায় তিন জনকে সদর হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে মোবারক হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ছুরিকাঘাতে তার হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। নবীনুর রহমান ও মাহিন আশরাফ আমাদের হাসপাতালে ভর্তি আছেন।'

আহত শিক্ষক নবীনুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুল থেকে দুপুরে বাড়িতে এসে দেখতে পাই তারা মিয়া, তার ছেলে সোহান, সোহেব এবং ভাতিজা রাশেদ মোশারফ ইমনসহ কয়েকজন আমার বড় ভাই ও ভাতিজাকে এলোপাতাড়িভাবে লোহার রড ও ধারালো অন্ত্র দিয়ে আঘাত করছে। তারা বাড়িতে ঢুকে নারীদের ওপরও হামলা চালায়। আমি তাদের ঠেকাতে গেলে তারা আমার মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও কিল-ঘুষি মারে। হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেও তারা আমাদের তিন জনকে ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে।'

কলেজছাত্র মাহিন আশরাফ জোহাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তারা প্রথমে আমাকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এসময় আমাকে বাঁচাতে বাবা এগিয়ে এলে তারা বাবার হাতে ছুরিকাঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এরপর আমার ছোট চাচা এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরি দিয়ে মুখে আঘাত করে এবং কিল-ঘুষি মারে।'

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সামান্য ঘটনায় মোবারক, নবীন ও জোহাসের ওপর হামলা চালানো হয়। আমি এগিয়ে এলে তারা আমাকেও আঘাত করে, আমি মাটিতে পড়ে যাই।' 

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মারামারির ঘটনার কথা শুনেছি। তবে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

4,000 ASIs to join police force before election: IGP

No lottery system for civil service postings, says senior secretary to public administration ministry

15m ago