বান্দরবান

পাহাড় কেটে ঝিরির পানি প্রবাহ বন্ধ, ৪ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা

দুপুর ১২টায় বান্দরবান সদর থানায় বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন এ মামলা করেন।
বান্দরবান
পাহাড় কেটে তৈরি রাস্তার ওপর বনের কাটা গাছ ফেলে রাখা হয়েছে। ছবি: স্টার

বান্দরবানে পাহাড় কেটে ঝিরির পানি প্রবাহ বন্ধের অভিযোগে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বান্দরবান সদর থানায় বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার কালা উজান এলাকার আব্দুর শুকুর, বান্দরবন সদর উপজেলার টঙ্গাবতি ইউনিয়নের আব্দুর রহিম, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার কালু মিয়া, শুকুর মিয়া এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২-৩ জন।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রথম পাতায় বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের পানছড়ি মৌজার চিনি পাড়ার খেদার ঝিরি এলাকায় গত এক মাস ধরে নির্বিচারে প্রাকৃতিক বনের গাছ কেটে পাচার করা হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাছ পাচারের জন্য খেদার ঝিরির পানি প্রবাহ বন্ধ করে এবং এস্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে এবং এতে সুপেয় পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন চিনি পাড়ার বাসিন্দারা।

বিষয়টির সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পর প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ এনে জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ১৫৪ ধারায় মামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী এটি একটি নিয়মিত মামলা, যা ফৌজদারি বলে ধরা হয়।

Comments