শেরেবাংলা নগরে দরজা ভেঙে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার, মেয়ে গুরুতর আহত

ঢাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ নিহত ২
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরের একটি বাসার দরজা ভেঙে এক ব্যক্তি ও তার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই ব্যক্তির মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়।

আজ রোববার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ইমরান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আজ সন্ধ্যায় তালতলা এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয়তলার ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে মসিউর রহমান (৫০) ও তার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে সাদাতের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই ব্যক্তির মেয়ে সিনথিয়াকে (১৩) গুরুতর আহত অবস্থা পাওয়া যায়।'

ইমরান বলেন, 'মসিউরের স্ত্রী একটি কোচিং সেন্টারে পড়ান। ক্লাস শেষে বাসায় ফিরে দীর্ঘ সময় বেল বাজান। ভেতরে থেকে কেউ দরজা না খোলায় বাড়িওয়ালা ও আশেপাশের লোকজন দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন মসিউর রহমানের মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। মেঝেতে তার সন্তানরা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে।

'প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সন্তানদের শ্বাসরোধের হত্যার চেষ্টার পরে মসিউর আত্মহত্যা করেছেন। সিনথিয়াকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে,' বলেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, 'মসিউর একটি রিয়াল স্টেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেখান থেকে চাকরি চলে যাওয়ার পরে কয়েক বছর যাবত তিনি বেকার ছিলেন এবং হতাশায় ভুগছিলেন। পুলিশ তদন্ত করছে, বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে।'

শেরেবাংলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মসিউর নামে ওই ব্যক্তি একটি রিয়াল স্টেট কোম্পানিতে সাব-ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন। প্রায় আট বছর আগে তার চাকরি চলে যায়। এরপর তিনি শেয়ার ব্যবসা শুরু করেন। সম্প্রতি তাতেও ক্ষতির মুখে পড়ে মসিউর।'

তিনি বলেন, 'ছেলে ও মেয়ের গলায় আঙুলের দাগ রয়েছে। তাতে ধারণা করা হচ্ছে, মসিউর তার সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা করেন। কোনোভাবে মেয়েটি বেঁচে যায়।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago