লংদুতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মীসহ নিহত ২

এ ঘটনায় ইউপিডিএফ-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্তু লামার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করা হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মীসহ দুজন নিহত হয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হারিকাবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইউপিডিএফের কর্মী বিদ্যাধন চাকমা ওরফে তিলক চাকমা (৪৯) ও পাশের দুদুকছড়া গ্রামের ধন্যমনি চাকমা (৩২)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউপিডিএফের একদল সদস্য হারিকাবা মনপুদি গ্রামে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সকাল ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ও স্থানীয় বাসিন্দা ধনমনি চাকমা ঘটনাস্থলে মারা যান।

লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রশিত চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় ইউপিডিএফ-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্তু লামার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করা হয়েছে।

ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্যা মারমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেএসএস এর ৭-৮ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মমভাবে গুলি চালায়। যারা এ ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ডে জড়িত আমরা তাদের বিচার চাই।'

অভিযোগের বিষয়ে জেএসএস এর লংগদু উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মণিশঙ্কর চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।

'এই ধরনের ঘটনায় জেএসএস জড়িত নয়, এমনকি আমাদের সেখানে কোনো কার্যক্রমও নেই,' বলেন তিনি।

লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, 'দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের বুকে ও মুখে কিছু গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments