জমি কেনার নামে বেনজীর হিন্দুদের সঙ্গে আসলে কী করেছিলেন?

বাধ্য হয়ে জমি বিক্রির পর ভারতে চলে যায় দুই হিন্দু পরিবার।
সাভানা রিসোর্ট
গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের আদেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের মালিকানাধীন এই সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। ছবিটি গত সপ্তাহে তোলা। ছবি: নাইমুর রহমান

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাটিকেলবাড়ি গ্রামে রাস্তার পাশের খালের ওপর অস্থায়ী বাঁশের সেতু দিয়েই হিন্দুদের ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরগুলোতে যেতে হয়। জরাজীর্ণ ঘরবাড়িগুলো একশ বা তার বেশি মৈত্র পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার যেন বহিঃপ্রকাশ।

তবে এখনকার এই নিঃস্ব অবস্থা আগে তাদের ছিল না। ২৭ দশমিক ৫ একরেরও বেশি কৃষিজমি ছিল। যা দিয়ে মোটামুটি ভালোভাবেই বছর চলে যেত তাদের।

সবকিছু পাল্টে যায় প্রায় চার বছর আগে যখন তারা তাদের পাঁচ একর জমি বাদে বাকি সব জমি সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন।

বেনজীরের দোর্দণ্ড প্রতাপ আর গরিব মানুষের জমি গ্রাস করার তীব্র চাপে কাছে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন, বলেন ৫৫ বছর বয়সী স্বরূপ মৈত্র।

'আমার কাহিনী বলা শুরু করলে চোখের পানি বাধ মানে না,' বলেন স্বরূপ।

পুলিশের সাবেক এই আইজি দেশ ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা নিশ্চিত করা যায়নি। পদে থাকাকালীন তার বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

র‍্যাব প্রধান থাকাকালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন বেনজীর।

অভিযোগ আছে, জমি অধিগ্রহণে দুটি কৌশল অবলম্বন করেন তিনি: প্রত্যক্ষ ভয় দেখানো এবং পরোক্ষ চাপ প্রয়োগ।

এখন পর্যন্ত দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেনজীর ও তার পরিবার বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৬১৩ দশমিক ৪১ বিঘা জমি কিনেছেন। যার মধ্যে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬০৫ দশমিক ৭৭ বিঘা জমি রয়েছে, যা একসময় সংখ্যালঘু হিন্দুদের জায়গা ছিল।

২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‍্যাব প্রধান এবং ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকাকালীন তিনি তার নিজ শহর গোপালগঞ্জে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক নামে একটি চোখ ধাঁধানো রিসোর্টসহ বেশিরভাগ সম্পদ গড়ে তুলেছেন।

গোপালগঞ্জে ৬০০ বিঘার বেশি বিশাল কৃষিজমি অধিগ্রহণের জন্য একটি থানার পরিদর্শক তৈমুর ইসলামকে নিযুক্ত করেছিলেন তিনি।

'প্রায় চার বছর আগে, তৈমুর আমাদের জমি বিক্রি করার জন্য বলে। আমরা বিক্রি করতে রাজী না হলে তিনি বলেন, বেনজীর আশেপাশের সব জমি নিয়ে নিয়েছে আর আমরা বিক্রি না করলে ওই জমিতে আমরা কোনোদিন যেতে পারব না,' ডেইলি স্টারকে বলেন স্বরূপ।

শেষ পর্যন্ত তারা তাদের তিন বিঘা জমি বিঘাপ্রতি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন। যা ছিল বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক। তাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে যে সামান্য অর্থ তারা ভাগে পান তা দিয়ে অন্য কোথাও কৃষিজমি কেনার উপায় ছিল না তাদের।

বেনজীরের জোরপূর্বক জমি অধিগ্রহণের আরেক শিকার মাদারীপুরের রাজৈরের বড়খোলা গ্রামের সরস্বতী রায় (৬০)। জীবিকার একমাত্র মাধ্যম ৩১ শতক জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়ে তিনি এখন অন্যের বাড়িতে কাজ করে দিন পার করছেন।

দুই থেকে তিন বছর আগে, তৈমুর এসে তাকে বলেন তিনি ওই জমির আসল মালিক নন এবং হুমকি দেন, বেনজীর যেভাবেই হোক ওই জমি নেবেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র দুই লাখ টাকায় তার ওই জমি ছেড়ে দিয়ে আসতে বাধ্য হন তিনি। ২০ বছর আগে ধারের টাকা আর গরু বিক্রি করে জমিটি কিনেছিলেন সরস্বতী রায়।

তিনি ও তার দিনমজুর ছেলে এখন অবশিষ্ট পাঁচ শতক জমির বসতবাড়িতে বাস করেন। এটুকুই তাদের শেষ সম্বল।

গোপালগঞ্জের পাটিকেলবাড়ি গ্রামের অপূর্ব মৈত্রসহ অন্যদের ক্ষেত্রেও জমি নিতে চাতুর্যপূর্ণ কৌশল নেওয়া হয়।

অপূর্বর দুটি প্লটে ১০ কাঠা চাষের জমি ছিল। একটিতে ধান চাষ করতেন, আরেকটিতে তরমুজ।

হঠাৎ একদিন বেনজীরের লোকজন তার জমিতে বড় বড় পাইপ বসিয়ে সাবেক আইজিপির সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক প্রজেক্ট সাইটে বালু ভরাট করতে শুরু করে। বেনজীরের প্রকল্পের মধ্যে প্লটটি পড়ায় সেটিও বালুতে ভর্তি হয়ে যায়।

'আমরা দুই বছর ওই জমিতে কোনো ফসলই ফলাতে পারিনি। এক পর্যায়ে আমরা ওই জমি বেনজীরের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হই,' বলেন অপূর্ব। যিনি এখন দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান।

তাদের মতো গোপালগঞ্জ সদর ও মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কয়েকশ মানুষ তাদের পারিবারিক জমি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

গোপালগঞ্জ সদরের মাছকান্দি, বৈরাগীটোল ও পাটিকেলবাড়ি গ্রাম এবং রাজৈরের বড়খোলা গ্রামে দুদিনের সফরে ডেইলি স্টার অন্তত ৪০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা সবাই বলেছে, তাদের মনে বেনজীর যে ভয় আর আতঙ্ক তৈরি করেছিলেন সেটি না থাকলে তাদের জমি তারা কখনও বিক্রি করতেন না।

চাতুর্যপূর্ণ কৌশল

স্থানীয়রা জানান, ২০১৬-২০১৭ সালে ওই এলাকায় প্রথম এক টুকরো জমি কেনেন বেনজীর। তারপরই পুলিশ প্রধানের মতো ক্ষমতাবান একজনের জমি অধিগ্রহণে প্ররোচনা এবং পুলিশ পরিদর্শক তৈমুরকে দিয়ে হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে জমি বিক্রিতে বাধ্য করায় এটি ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে।

বৈরাগিটোল গ্রামের তরুণ বল বলেন, বেনজীরের লোকজন ড্রোন উড়িয়ে সাদা ও লাল রঙে বিভিন্ন প্লট চিহ্নিত করে মানচিত্র তৈরি করত। সম্ভবত কোন জমিকে টার্গেট করা হবে তা নির্ধারণ করা হতো এভাবে।

তিনি বলেন, 'যে জমি টার্গেট করা হতো তৈমুর ওই জমির মালিকদের কাছে যেতেন এবং বলতেন, "আপনারা জানেন বেনজীর কতটা ক্ষমতাবান। আপনি যদি আপনার জমি বিক্রি করতে রাজী না হলেও তিনি ওই জমি নেবেনই। ভালোয় ভালোয় না দিলে জমি আর টাকা দুইই হারাবেন। আর যদি বিক্রি করতে রাজি হন তবে আপনাকে ভালো দাম পাইয়ে দিতে সাহায্য করব।"'

কেউ জমি বিক্রি করতে না চাইলে বেনজীর ওই জমির আশেপাশের জমি কিনে নিয়ে তার জমিতে যাওয়া বন্ধ করে দিতেন। বৈরাগীটোল গ্রামের সঞ্জয় বল বলেন, এটি শেষ পর্যন্ত মানুষকে হার মানতে বাধ্য করত।

২০১৮-১৯ সালে তার ৩০ বিঘা পৈত্রিক জমি 'জোর করে' কিনে নিয়েছিলেন বেনজীর।

বিপ্লব বল বলেন, বেনজীরের কাছে জমি বিক্রি করে স্থানীয় দুই জন তাদের পরিবার নিয়ে ভারতে চলে গেছেন।

তাদের একজন প্রশান্ত বল (৪০)। প্রায় এক বছর আগে তিনি তার স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগর থেকে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'বেনজীরের লোকজন বালু ভরাট করে আমার ৫১ শতক কৃষিজমি মাত্র ২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। দেশে ফিরে আমি কী করব? তাই ভারতে চলে এসেছি।'

রিসোর্ট তদারকিতে র‍্যাব-পুলিশ সদস্য

বেনজীর তার ব্যক্তিগত প্রকল্পে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যদের নিযুক্ত করেছিলেন। স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালে তিনি অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তাকে রিসোর্টের নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

বাচ্চু মিয়া ও শাহজালাল নামে দুই উপ-পরিদর্শককে (এসআই) বেশিরভাগ সময়েই সেখানে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

বেনজীরের তৎকালীন স্টাফ অফিসার মাসুদ আলম, যিনি পরে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার হয়েছিলেন, তিনিও ঘন ঘন সেখানে আসতেন। কখনও কখনও জমি কেনার জন্য দরকষাকষিও করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদা সুলতানাও রিসোর্ট এলাকা পরিদর্শন করেন।

নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র

মাছকান্দি ও বৈরাগীটোল গ্রামে ক্রয়কৃত জমির একটি অংশে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক তৈরি করা হয়েছে। আফ্রিকান সাভানার মাসাই স্থাপত্যের আদলে বেশ কয়েকটি দামি কটেজ তৈরি করা হয়েছে সেখানে।

স্থানীয়রা জানান, ওই স্থানে ভূমি উন্নয়নের জন্য বেনজীরের লোকজন বৈরাগীটোলের প্রায় ৩০ বিঘা জমির ওপর বিশাল পুকুর খনন করে সেখান থেকে বালু ও মাটি নিয়ে যায়।

রিসোর্টের ওয়েবসাইট অনুসারে, রিসোর্টটিতে একটি খামার, বেশ কয়েকটি পুকুর, একটি সুইমিং পুল, নৌকা ভ্রমণের সুবিধা, শিশুদের জন্য খেলার জায়গা, একটি কান্ট্রি ক্লাব, একটি হেলিপ্যাড এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।

গত ৩ জুন পর্যন্ত ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে দর্শনার্থীরা এই রিসোর্টে যেতে পারতেন। বর্তমানে রিসোর্টটি অধিগ্রহণ করেছে সরকার।

গোপালগঞ্জ পরিবেশ অফিসের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান জানান, অস্থায়ী সাইট ক্লিয়ারেন্স দিয়ে রিসোর্টটি নির্মাণ করা হলেও এর চূড়ান্ত পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই।

কয়েক বছর আগে এলজিইডি সেখানে স্থানীয়দের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি সড়ক নির্মাণ করে। কিন্তু স্থানীয়রা এটি ব্যবহার করতে পারেন না। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি বিশাল লোহার গেট বসিয়ে ওই রাস্তা শুধুমাত্র রিসোর্টে যারা আসবেন তাদের ব্যবহারের জন্য আটকে রেখেছে।

গোপালগঞ্জ সদরের এলজিইডির প্রকৌশলী এস এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি স্থানীয়রা রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারছেন না। আমাদের কাজ রাস্তা তৈরি করা। রাস্তাটি যাতে মানুষ ব্যবহার করতে পারে সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে।'

'আদেশ পালন করেছি'

কাউকে জমি বিক্রি করতে ভয় দেখাননি বলে দাবি করেছেন হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৈমুর ইসলাম।

তিনি বলেন, 'বেনজীর সাহেব দুই বছর আগে অবসরে গেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে গ্রামবাসী এর আগে কোনো অভিযোগ করেননি। এখন কেন তারা এ ধরনের অভিযোগ আনছে তা আমার জানা নেই।'

ভুক্তভোগীরা জানান, বেনজীরের বিরুদ্ধে আইনি প্রতিকার চাওয়ার মতো সাহস তাদের ছিল না।

তৈমুর বলেন, বেনজীরের স্টাফ অফিসার মাঝেমধ্যে তাকে ফোন করে জমির দলিল যাচাই করতে বলতেন এবং তিনি শুধু সেই আদেশ পালন করেছেন।

'আমাকে কিছু গাছ লাগানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এ সময় আইজিপির স্টাফ অফিসার আমাকে মাঝে মাঝে ফোন করতেন এবং আমি তার সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। মাসুদ সাহেব সব বলতে পারেন কারণ পরে তাকে প্রকল্পটি দেখাশোনা করার জন্য মাদারীপুরের এসপি করা হয়েছিল। তিনিই সব করেছেন। তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তারা সব জানেন,' টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে কথাগুলো বলেন তৈমুর।

উপ-পরিদর্শক বাচ্চু ও শাহজালালকে কল করা হলেও তারা ধরেননি এবং  টেক্সট মেসেজ দেওয়া হলেও জবাব দেননি।

এর আগে বাচ্চু দৈনিক প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করে বলেছেন, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে রিসোর্টের নির্মাণকাজ তদারকি করেন। তিনি তার কাজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, তিনি কেবল তার সুপারভাইজারের 'আদেশ পালন করেছেন'।

মাসুদ আলম এই প্রকল্পে তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, 'জীবনে কখনো কোনো অপকর্ম করিনি। মাদারীপুরের এসপি হিসেবে যোগদানের পর আমি কখনো বেনজীর স্যারের প্রজেক্ট এলাকায় যাইনি। প্রয়োজন থাকলেও আমি সেখানে যাইনি।'

র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) শাহেদা সুলতানাকে গত এক সপ্তাহ ধরে ফোনকল ও টেক্সট মেসেজ দেওয়া হলেও তিনি কল ধরেননি এবং কোনো রিপ্লাই দেননি।

এটি একটি অপরাধ

সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক কাজে পুলিশ সদস্যদের নিযুক্ত করতে পারেন না।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি হবে অপরাধ।'

সরকারি কর্মকর্তারা জমি কিনতে পারেন, তবে নিয়ম মেনে এবং বৈধ আয়ে। বেনজীরের ক্ষেত্রে এটা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা এবং টাকার উৎস কী তা দেখতে হবে বলেন, আগের মেয়াদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ।

বক্তব্য জানতে বেনজীরের হোয়াটসঅ্যাপে কল এবং টেক্সট মেসেজ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

গত ২০ এপ্রিল এক ফেসবুক লাইভে বেনজীর ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ জেলা এবং প্রকল্প এলাকা তার নির্বাচনী এলাকা সংলগ্ন হওয়ায় জোরজবরদস্তি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি কেনা অবাস্তব।'

জমি ছাড়াও এ পর্যন্ত বেনজীর ও তার পরিবারের ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, দুটি সঞ্চয়পত্র, ২২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ১০টি বিও অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে।

তার সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। যদিও দুদকের তদন্তকারীরা বলছেন, আদালতের আদেশ কার্যকর হওয়ার আগেই বড় অংকের অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে।

Comments