চুরির টাকায় মামলার খরচ!

গ্রেপ্তার নুরনবী সাকিব ও আশিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং এলাকার এক বাসা থেকে নগদ ১৮ লাখ টাকা ও ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

আজ বৃহস্পতিবার নগর গোয়েন্দা পুলিশের (বন্দর-পশ্চিম) উপ-কমিশনার মো. আলী হোসেন জানান, মঙ্গলবার ও বুধবার ঢাকা এবং কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নুরনবী সাকিব ও আশিকুর রহমান।

ডিবি কর্মকর্তারা জানান, চুরির টাকার একাংশ দিয়ে আগে থাকা মামলার খরচ চালিয়েছেন তারা। আরেক অংশ নিজেরা ভাগ-ভাটোয়ারা করে ভোগ করছিলেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, গত ১৩ মে হজে যাওয়ার জন্য জসিম উদ্দিন ও রোজিনা আক্তার দম্পতির জমানো ১৮ লাখ টাকা ও ২৩ ভরি স্বর্ণ ঘরের গ্রিল কেটে নিয়ে যায় চোরচক্র। আগের দিন ছোট ছেলের কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পরিবারসহ ঢাকায় যান তারা।

পরীক্ষা থাকায় বড় ছেলে বাসায় ছিল। রাতে সে দাদা-দাদির সঙ্গে নিচতলায় ঘুমাতে গেলে সেই সুযোগে তিনতলার ঘরে ঢুকে চোর।

এ ঘটনায় ১৪ মে রাতে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন জসিম উদ্দিন।

ডিবি কর্মকর্তা আলী হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'প্রথমে কুমিল্লার দেবিদ্বারে অভিযান চালিয়ে আশিককে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তার দেওয়া তথ্যমতে গতকাল রাতে ঢাকার বংশাল থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।'

'তাদের দুজনের কাছ থেকে সাড়ে ছয় ভরি করে দুটি স্বর্ণের হার ও একটি আংটি উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া, আশিকের শাশুড়ির কাছ থেকে চুরি হওয়া ৫০ হাজার ও সাকিবের মার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়', বলেন তিনি।

আলী হোসেন বলেন, 'সাকিব এ চক্রের প্রধান হিসেবে কাজ করে। ১২ বছর বয়সেই সে চুরির মাধ্যমে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। ১৬ বছর বয়সেই হয়ে যায় দুর্ধর্ষ চোর। গড়ে তোলে নিজের গ্রুপ। এরপর সাত বছরে ১৫০-২০০ চুরির ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় সে। তাকে ধরতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে।'

'সাকিবের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা আছে কি না আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি', বলেন তিনি।
 

Comments

The Daily Star  | English

Commercial banks’ lending to govt jumps 60%

With the central bank halting direct financing by printing new notes, the government also has no option but to turn to commercial banks to meet its fiscal needs.

10h ago