যাত্রাবাড়ীতে বাসা থেকে এসআইয়ের বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ নিহত ২
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার মোমেনবাগের একটি বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত এক উপপরিদর্শকের বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন—শফিকুল রহমান (৬২) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইসলাম (৫৫)।

যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ওহিদুর হক মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পুলিশ ভোর ৬টার দিকে মোমেনবাগের ১৭৫ নম্বর বাসা থেকে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি যে এই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে। কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং কেন তারা এটি করেছে তা খুঁজে বের করতে আমরা তদন্ত করছি।'

বর্তমানে তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে আছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত শফিক জনতা ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত চালক ছিলেন৷ এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তাদের ছেলে আল-আমিন ইমন পুলিশের এসবিতে এসআই হিসেবে কর্মরত। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের ফেনীতে একটি বাড়ি নিয়ে মামলা চলছে৷

নিহত দম্পতির ছেলে ইমনের ভাষ্য, ভোরবেলা তার বাবা পানির মোটর ছাড়তে নিচতলায় নেমে এলে ওঁত পেতে থাকা খুনিরা প্রথমে তার বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে দ্বিতীয়তলায় রুমে ঢুকে তার মা ফরিদাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এরপর খুনিরা ছাদ দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করেছে।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগরে উপ-সহকারী পুলিশ কমিশনার ইকবাল হোসাইন বলেন, 'এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পেশাদার কিলার দিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।'

Comments