মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি: পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেবে দুদক

রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে আজ অভিযান চালিয়েছে দুদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে চাঁদাবাজি ও জনহয়রানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়গুলো যথাযথ পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অভিযান চালিয়েছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

এ তিন টার্মিনালের বিরুদ্ধে পাওয়া ৮ অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুদক।

মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অভিযানে দুদক দেখতে পায়, দূরপাল্লার বাসসহ লোকাল বাসগুলোর বেশিরভাগ কাউন্টারে কোনো নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা নেই। কিছু বাস সার্ভিসের তালিকা থাকলেও প্রতি কিলোমিটার হিসেবে যে ভাড়া নির্ধারিত থাকার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়ার উল্লেখ আছে।

অভিযানে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম ভাড়া আদায়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।

এছাড়া, প্রতিটি গাড়িকে সিরিয়ালে ছাড়ার জন্য বাস মালিক সমিতিকে পরিবহন 'ছাড়পত্র' বাবদ ১১০ টাকা বা তার বেশি টাকা দিতে হয়। গাবতলী ও সায়েদাবাদে এই টাকার পরিমাণ ২০০-৩০০। বিভিন্ন বাসের চালকদের সঙ্গে কথা বলেও এর সত্যতা পায় দুদক।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে ইজারা ভিত্তিতে দৈনিক বাসপ্রতি ৫০ টাকা করে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে। 

এছাড়া, দূরপাল্লার বাসগুলোকে মাঝপথে সাভার, চন্দ্রা, গাজীপুর মালিক সমিতিকে, টিআই এবং সার্জেন্টকে মাসিক ভিত্তিতে বা দৈনিক ভিত্তিতে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে চাঁদা দিতে হয় বলেও জানতে পেরেছে দুদক।

দুদক জানায়, এসব তথ্য পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ বিমানবন্দরের সাতটি অনুবিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের কাছ থেকে বকশিশের নামে টাকা আদায়, বিমানবন্দর টার্মিনালের স্পেস ইজারা নিতে বা নবায়ন করতে ঘুষ দাবিসহ আরও কিছু অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে দুদক।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য ও নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে বলে দুদকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

15h ago