যা আছে নুসরাত ফারিয়ার জামিন আদেশে

Nusrat_Faria.jpg
নুসরাত ফারিয়া | ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে একটি হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে থাকা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ মঙ্গলবার সকালে তার মামলার মূল নথি ও জামিন আবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নুসরাত ফারিয়া ৯ জুলাই ২০২৪ থেকে ১৪ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত এই মামলার ঘটনাকালীন সময়ে দেশের বাইরে (কানাডা) ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জামিন আদেশে বলা হয়েছে, হাজতি আসামির বিরুদ্ধে এজাহারে জামিনের অযোগ্য ধারার অভিযোগ থাকলেও উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্ট ব্যতিত আনীত অভিযোগ নিরুপন করা সম্ভবপর নয়। আসামি ১৯ মে ২০২৫ থেকে হতে জেল হাজতে আছে। মামলা তদন্তাধীন।

'এমতাবস্থায়, সার্বিক বিষয়াদি ও বিবেচনায় হাজতি আসামি নুসরাত ফারিয়াকে ৫০০০ টাকা বন্ডে নিয়োজিত বিজ্ঞ আইনজীবী ও একজন স্থানীয় ব্যক্তির জিম্মায় পুলিশ রিপোর্ট দালিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করা হলো।'

গত ২৭ মার্চ আদালতে দায়ের করা মামলায় এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি আসামি করেন পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৭ জন অভিনয়শিল্পী ও আরও ২৬৫ জনকে।

আদালতের নির্দেশে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ৩ মে মামলাটি নথিভুক্ত করেন।

এই মামলায় আসামি হিসেবে যে ১৭ জন অভিনয়শিল্পীর নাম রয়েছে তারা হলেন—নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, সৈয়দা কামরুন নাহার শাহনুর, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সোহানা সাবা, তানভীন সুইটি, মেহের আফরোজ শাওন, জাকিয়া মুন, জ্যোতিকা জ্যোতি, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, আশনা হাবিব ভাবনা, সায়মন সাদিক, জায়েদ খান, রোকেয়া প্রাচী ও তারিন জাহান।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগকে অর্থদাতা হিসেবে তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

নুসরাত ফারিয়াকে ১৮ মে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করে পুলিশ।

গতকাল পুলিশ নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সারাহ্ ফারজানা হক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Protests, road blockades trigger traffic disruptions in Dhaka

Several parts of the capital have been experiencing severe traffic congestion today due to demonstrations and road blockades by different political parties citing various reason

1h ago