ফরিদপুর-৩: এ কে আজাদ ও শামীমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩

আ. লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী
নৌকার প্রার্থী ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক (বামে) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এ কে আজাদ (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে ওই এলাকার মুন্নু মোল্লা এ কে আজাদের সমর্থক। অপরদিকে মুন্নুর ভাই রশিদ মোল্লা শামীম হকের সমর্থক।

আজ আদালত থেকে শামীম হকের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে রায় আসার খবরে রশিদ মোল্লার দুই ছেলে আসাদ মোল্লা ও আইয়ুব মোল্লা উল্লাস করছিলেন। এ সময় মুন্নুর দুই ছেলে রনি মোল্লা ও কাইয়ুম মোল্লার সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও পরে মারামারি হয়। মারামারিতে আসাদ মোল্লা, আইয়ুব মোল্লা ও রনি মোল্লা আহত হন।

আহত আসাদ মোল্লা ও আইয়ুব মোল্লাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রনি মোল্লাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রনি মোল্লা ও কাইয়ুম মোল্লার বাবা মুন্নু মোল্লা বলেন, আমার পরিবারের সবাই এ কে আজাদের সমর্থনে প্রচারণা চালাচ্ছি। আজ দুপুর ২টার দিকে আমার সেজো ছেলে আমাদের দোকান খুলতে গেলে শামীম হকের সমর্থক মোস্তফার নেতৃত্বে আজাদ, আসাদ ও চুন্নু তার ওপর হামলা চালায়। আমার বড় ছেলে সেখানে গেলে তারা আমার দুই ছেলেকে মারধর করে। আমার বড় ছেলের হাত ভেঙে যায়। এখন সে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শেখ বলেন, যাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে তারা চাচাতো ভাই। শামীম হকের পক্ষে স্লোগান দেওয়ায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এদিকে বিকেল ৩টার দিকে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাকের মোড়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুসরাত রাসুল তানিয়া নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তাকে হুমকি দিয়ে এ কে আজাদের ঈগল মার্কার লিফলেট শামীম হকের সমর্থকরা ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

তানিয়া বলেন, আমরা ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বের হয়েছিলাম। আলীপুরের রাজ্জাকের মোড়ে আমরা উপস্থিত হলে শামীম হকের সমর্থকরা প্রায় ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরে। আমরা আলীপুরে এ কে আজাদের ক্যাম্পেইন করতে পারবো না বলে হুমকি দেন। আমাদের কাছে থাকা ঈগল মার্কার সব লিফলেট ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান তারা।

১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির তালুকদার বলেন, ঘটনার সময় আমরা সবাই শামীম হকের জন্য আওয়ামী লীগ অফিসে অবস্থান করছিলাম। রাজ্জাকের মোড়ের কোনো ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো। আর আলিপুরের ঘটনায় পুলিশ অবগত আছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

Comments

The Daily Star  | English

Garment exporters prefer cheaper Maldives, bypassing Dhaka, Indian airports

Exporters say the traditional air shipment routes through Dhaka, Kolkata, Colombo or Singapore had either become too expensive or too slow

1h ago