বরগুনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১: চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫ জন কারাগারে

‘রাতে পুলিশ নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।’
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটা হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার দুপুরে পাঁচ আসামিকে হাজতে পাঠানো হয়।

বাকি চার আসামি হলেন—সোহাগ প্যাদা (৩৫), মাহবুব (৪০), গোলাম কিবরিয়া (৩২) ও মেহেদী হাসান (৩৪)। তারা সবাই চেয়ারম্যান প্রার্থী নয়ন মৃধার সমর্থক।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত বুধবার রাতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হিরণ গাজীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। পরের দিন দুপুরে হিরণের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'রাতে পুলিশ নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।'

হিরণ গাজীর বাড়ি সদর ইউনিয়নের পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের আগে হিরণ জানতে পারেন নয়ন মৃধা তার সমর্থকদের নিয়ে পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট কেনার জন্য টাকা বিতরণ করছেন। এই তথ্য জানার পরে তাদের বাধা দিতে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হিরণ বের হন। তার সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২ জন গিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন হিরণকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। 

তাসলিমা বেগম ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, 'আমার স্বামীকে আবুল বাশার নয়ন মৃধা ও তার লোকজন খুন করেছে। আমি এই খুনের বিচার চাই।'

Comments