ফরিদপুর-৩

স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের পক্ষে কাজ করায় ১০ আ. লীগ নেতাকে অব্যাহতি

আ. লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী
নৌকার প্রার্থী ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক (বামে) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এ কে আজাদ (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের পক্ষে কাজ করায় তাকেসহ ১০ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এই আসন থেকে নৌকার প্রার্থী শামীম হক এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াকের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আলী আজগরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা হয়।

দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া নেতারা হলেন—জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ, কোষাধ্যক্ষ যশোদা জীবন দেবনাথ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুবল চন্দ্র সাহা, মনিরুল হাসান, আবুল বাতিন ও শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ কে আজাদ, খলিফা কামাল উদ্দিন ও শাহ আলম মুকুল।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'জননেত্রী শেখ হাসিনার হাজারো উন্নয়ন বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে আজ বহুল প্রশংসিত। এসব বাস্তবমুখী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি কর্তৃক ঘোষিত ফরিদপুর-৩ সংসদীয় আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করায় এবং বিপক্ষ প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও জননেত্রীর স্থানীয় নির্বাচনী জনসভায় আপনাদের অনুপস্থিতি উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের শামিল। যা দলীয় আদর্শ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, গঠনতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ পরিপন্থী। সংগঠনের দলীয় গঠন তন্ত্রের ৪৭ (১) এবং ৪৭ (১১) ধারা অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আপনাদেরকে দলীয় স্ব স্ব পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।'

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ বলেন, 'জেলা আওয়ামী লীগ কোনো নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার কিংবা পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র এ ক্ষমতা দেয়নি। তারা বড়জোর সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠাতে পারেন। কেন্দ্র সেটা মনবে কি মানবে না, তা কেন্দ্রের বিচার্য বিষয়।'

স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ সম্পর্কে আইভী মাসুদ বলেন, 'নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন এবং নেতারা তার পক্ষে কাজ করতে পারবেন। আমরা নেত্রীর নির্দেশে কাজ করছি। নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে এক চুলও যাইনি। নেত্রী যদি বলতেন, দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া যাবে না, কিংবা তার পক্ষে কাজ করা যাবে না, তাহলে আমরা কাজ করতাম না। নেত্রীর সিদ্ধান্তই শিরোধার্য।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ না দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী মাসুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরে আসবেন, জনসভা করবেন—এ বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি, চিঠি দেওয়া হয়নি, ছবি নেওয়া হয়নি।'

আইভী মাসুদ আরও বলেন, 'আমাদেরকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হলে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। যেহেতু আমাদের বহিষ্কারের ক্ষমতা জেলা কমিটি রাখে না, তাই এ বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি না।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Türk concerned over changes in Bangladesh's legislation banning activities of parties

"This [the changes in legislation] unduly restricts the freedoms of association, expression, and assembly," says the UN high commissioner for human rights

51m ago