চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে একমাত্র নারী প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি

সনি চট্টগ্রাম-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে একমাত্র নারী প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ১২০ জন প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে একমাত্র নারী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।

তিনি চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, ফটিকছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন মো. আবু তৈয়বসহ আরও সাত প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সনি চট্টগ্রাম-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে। প্রয়াত রফিকুল আনোয়ার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার ফটিকছড়ি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৮ সালে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন সনি।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই ভোট চাইতে ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন সনি।

তার ভাষ্য, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে, বিশেষ করে চট্টগ্রামে নারী প্রার্থীর সংখ্যা খুবই কম। তবে নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দিয়েছে।

তিনি বলেন, 'ভোটাররা আমাকে ভালোবাসেন। আমার বাবাকেও ভালোবাসতেন। আমার বাবা ১০ বছর তাদের সেবা করেছেন।'

সনি বলেন, 'আমি আমার বাবার বাকি উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চাই। এ ছাড়া, আমি বিশেষভাবে নারী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।'

চট্টগ্রামে নারী প্রার্থীর সংখ্যা কম থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফেমেনিস্ট অ্যাক্টিভিস্টরাও।

বাংলাদেশ মহিলা সমিতির (চট্টগ্রাম) সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সুলতানা পারু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচনে নারী প্রার্থীর এই স্বল্পতা লিঙ্গবৈষম্যেরই প্রমাণ।'

তিনি বলেন, 'বেশিরভাগ দলই মনে করে যে নারী প্রার্থীরা পুরুষদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হতে পারবেন না। এই বিশ্বাসের কারণে তারা নারীদের প্রার্থী না করে পুরুষদের করে।'

তিনি আরও বলেন, 'লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় আরও বেশি নারীর উপস্থিতি প্রয়োজন। নারীদের নেতৃত্বে না আনলে লিঙ্গবৈষম্য দূর করা সম্ভব না।'

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পুরো পরিস্থিতি বদলে দেবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Students back to school even as Met office extends heat alert

All primary and secondary schools, as well as colleges, reopened today after a long break that included the Eid-ul-Fitr and Pahela Baishakh holidays, and a week off due to the ongoing heatwave

40m ago