মিয়ানমারে সংঘাত নিরসনে চীন ভূমিকা রাখলে আমরা উপকৃত হবো: কাদের
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, মিয়ানমারে সংঘাত নিরসনে চীন ভূমিকা রাখলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মিয়ানমার থেকে ১৪ জন আর্মি এসে বাংলাদেশের বান্দরবানে আশ্রয় নিয়েছে—এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গণমাধ্যমকে কাদের বলেন, 'আরাকান আর্মিদের সঙ্গে তাদের যে ইন্টারনাল কনফ্লিক্ট, সেটার কিছু কিছু প্রতিক্রিয়া আমাদের এখানেও হয়।'
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন উদ্যোগী হওয়ার পরও কেন বিলম্বিত হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা যেভাবে বলার বলেছি। এসব সমস্যাগুলো আমাদের জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।'
চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা চাই তারা বন্ধুসুলভ থাকুক। এখানে ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে চীন-ভারত, এখানে একটা তো আছে শক্তি বলয়। তারা একমতের দেশ নয়। চীনের একটা দৃষ্টিভঙ্গি আছে। ভারত ও চীনের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট আছে। ওটার মধ্যে আমরা নাক গলাতে চাই না।
'ওটা ভারত আর চীনের ব্যাপার। তারা তাদের কনফ্লিক্ট মীমাংসা করবে। আমরা আমাদের স্বার্থ নিয়ে বলবো। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা যেন তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্টের শিকার না হই। আমাদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়,' বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এখন মিয়ানমারের আরাকান আর্মিদের সঙ্গে কনফ্লিক্টের জন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্ত; কিছু কিছু ক্ষতি তো আমাদের হচ্ছে। কোনো কোনো সময় আমাদের আকাশসীমা তারা অতিক্রমও করছে—এমন রিপোর্টও আছে। সে বিষয়গুলো তাদের আরেকটু বেশি মনোযোগ দেওয়া, তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্টের সঙ্গে; যেহেতু মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের একটা চমৎকার সম্পর্ক, সে জন্য চীন এখানে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে কি না এবং করলে আমরা উপকৃত হবো।'
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, 'তারা আগে যেটা বলেছিল, সেটাই বলেছে। তারা সম্পর্ক রাখবে আবার যেটা হয়ে গেছে নির্বাচন সে ব্যাপারে তাদের আপত্তি আছে। তবে তারা এটা বলেনি যে, এই নির্বাচনটা ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। এ ধরনের মন্তব্য কিন্তু করেনি। এটা চরম মন্তব্য। এ ধরনের মন্তব্য করলে হয়তো খারাপ কিছুর আশঙ্কা করা যেত।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন তারা যতটা অবাধ-সুষ্ঠু চাচ্ছিল, তাদের মতে এটা অবাধ-সুষ্ঠু হয়নি। আমরা তো মনে করি, এর চেয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন কী হবে! আমরা তো জানি না। আমাদের দেশে এই ইলেকশনটা এত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো।
'বিএনপি একটা দল, তাদের সমমনারা ইলেকশন করতে আসলো না, সে জন্য ইলেকশন খারাপ হবে এটা তো মনে করার কোনো কারণ নেই,' বলেন তিনি।
কাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে।
Comments