কারও আয় অস্বাভাবিকভাবে দৃষ্টিকটু মনে হলেও এই মুহূর্তে কিছু করার নেই: কাদের

কারও অস্বাভাবিক আয় দৃষ্টিকটু মনে হলেও এই মুহূর্তে কিছু করার নেই: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

কারও আয় অস্বাভাবিকভাবে দৃষ্টিকটু মনে হলেও এই মুহূর্তে সরকারের কিছু করার নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার এখন রুটিন ওয়ার্ক করছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কর্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ)। তারা বলেছে, এবার আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী তাদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ কোটিপতি, যেটি ২০১৮ সালে ছিল মাত্র ১৭ শতাংশ। পাঁচ বছরে আয়ের যে পার্থক্য এটি কীভাবে হলো এবং একজন প্রতিমন্ত্রীর কথা বলা হয়েছে, দেশের বাইরে তার দুই হাজার কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, দুর্নীতিবাজদের অর্থ বাজেয়াপ্ত করার। এ ধরনের প্রার্থীদের নিয়ে এটি কতটা সম্ভব হবে—একজন গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, 'গত ১৫ বছরে বাজেট বেড়েছে ১২ গুণ, মাথাপিছু আয় বেড়েছে পাঁচ গুণ। বাংলাদেশ এখন ৩৩তম অর্থনীতির দেশ। (সার্বিক) আয় বাড়লে মানুষের আয়ও তো বাড়বে। অস্বাভাবিকভাবে কারও আয়টা দৃষ্টিকটু মনে হলে, সেটা তো এই মুহূর্তে সরকারের কিছু করণীয় নেই। এখন সরকার রুটিন ওয়ার্ক করছে। সময় মতো দেখবেন...প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে।'

পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, মানুষের আয় বেড়েছে, একইসঙ্গে তার জীবনযাত্রার জন্য ঋণ করছে। ফলে আমরা একটা অন্য রকম আয়, অন্য রকম ব্যয়ের ঘোরপ্যাঁচে পড়ে গেছি কি না? একজন মন্ত্রীর দুই হাজার ১৩১ শতাংশ সম্পদ বেড়েছে, এটিকে আপনি দৃষ্টিকটু মনে করেন কি না—আরেকজন গণমাধ্যমকর্মী জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমি এভাবে একজন প্রার্থীর সম্পর্কে; তিনি নির্বাচনে প্রার্থী, এর মধ্যে আমি কিছু বলতে চাই না। আমার কিছু বলার থাকলে আমি পরবর্তীতে আমার এ কথা বলার কোনো ফোরামে সুযোগ হলে আমি অবশ্যই বলবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu: From student union to shaping Bangladesh’s politics

From Language Movement to anti-Ershad protests, Dhaka University’s student body left a lasting mark on national history

1h ago