‘ভোট দিতেই হবে’ ভয় দেখানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে যা বললেন বিপ্লব বড়ুয়া
নির্বাচন বর্জনকারীদের 'ভয়-ভীতি' উপেক্ষা করে আগামীকাল ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
আজ শনিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে যায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।
এই দলে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, 'ভোট মানুষ দেবে সেটা তাদের ভোটাধিকার। এটা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। তাকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি-জামায়াত যে ধ্বংসযজ্ঞে মেতেছে; তারা শুধুমাত্র সরকারি স্থাপনাই ধ্বংস করছে না—তারা নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করছে, ট্রেনে নাশকতা করছে, পোলিং স্টেশনে হামলা করছে।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন অভিযোগ পেলে। যা হচ্ছে সেটা শুধু নির্বাচন কমিশনের সার্কুলারের পরিপন্থি না, ফৌজদারি অপরাধও। মশাল মিছিল, অগ্নিসংযোগ করা, লাঠি মিছিল করা, ককটেল বিস্ফোরণ, গতকাল ট্রেনে হামলা।
'আমাদের দেশকে এভাবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত করেন, ভোটকেন্দ্রে আরও অধিক মানুষ উপস্থিত হয়ে এটার জবাব দেওয়া উচিত যে, আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বুঝিয়ে দিলাম আমরা নাশকতার পক্ষে নই। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন থেকেও আশ্বস্ত করা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা বলেছেন,' বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, 'ভোট দিতেই হবে—যারা ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনছেন, আমি মনে করি তারা বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির যে অপকর্ম; ট্রেনের যাত্রীকে পুড়িয়ে মারল, তাদের এ ধরনের পৈশাচিক-নির্মম ঘটনাকে রাজনৈতিক বৈধতা দেওয়ার জন্য এ ধরনের অভিযোগ সামনে নিয়ে আসছেন।'
তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি, বাংলাদেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি সক্ষম। প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকর রয়েছে। আমরা মনে করি না যে, জনগণের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি থাকতে পারে।'
ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারবে কি না এমন কোনো শঙ্কা আপনাদের আছে কি না জানতে চাইলে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, 'জনগণ আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা যেমন কোনো ভোটারকে তার বাড়ি-বাসা অফিস থেকে টেনে-হিঁচড়ে কেন্দ্রে নিতে পারি না। ঠিক একইভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটার, যারা ভোট দিতে আসবেন তারা যাতে ভোট দিতে না পারেন; ককটেল ফাটিয়ে, অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়ে তাদেরকেও আমরা বাধা দিতে পারি না। কারণ ভোটাধিকার হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার।
'আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষে সাংবিধানিক অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। আমরা এ কথাটি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা দেশবাসীকে বলবো, সব ষড়যন্ত্র, ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে আগামীকাল যে গণতন্ত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখেই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন,' যোগ করেন তিনি।
Comments