গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ৪০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে ৪০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ বুধবার সকাল ৮টায় সাঘাটা উপজেলার ৮৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৫৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
গাইবান্ধা-৫ আসনে মোট ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে এবারই প্রথম ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
ভোটকেন্দ্র স্থগিতের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছি সিসিটিভির মাধ্যমে। আমরা এ পর্যন্ত ৩১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।
কী কারণে স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো আমরা বলবো না! আমরা অনিয়ম দেখেছি, গুরুতর অনিয়ম সেই জন্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন কমিশন। আমরা ভোটটাকে সত্যিকার অর্থে ভোট হিসেবে দেখতে চাই। কিছু অনিয়ম দেখা গেছে, ওখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে দেখা যাচ্ছে না। এতে সঠিক জনমতের প্রতিফলন হবে না। সে কারণে আমরা ওই সেন্টারগুলোকে বাতিল করে দিয়েছি।
আমরা আরও পর্যবেক্ষণ করছি, বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।
এই আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব আসাদুজ্জামান আরজু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নানান রকম অনিয়ম দেখতে পাওয়ায় কমিশন গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ৪০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে।'
Comments