ভোটার তালিকা: মিথ্যা তথ্য ও দায়িত্ব অবহেলার শাস্তি কঠোর করার প্রস্তাব ইসির

জাতীয় বাজেট ২৩-২৪
ছবি: সংগৃহীত

ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তিতে মিথ্যা তথ্য দিলে কঠোর শাস্তির কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দায়িত্বে অবহেলার দায়ে নিবন্ধন কর্মকর্তাদেরও কঠোর শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

দুই ক্ষেত্রেই কমিশন কারাদণ্ডের মেয়াদ দ্বিগুণ ও জরিমানা ৪ থেকে ১০ গুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।

কঠোর বিধান অন্তর্ভুক্ত করে ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ সংশোধনে কমিশন একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এ সংশোধনীর প্রস্তাব আনা হয়।

ইসি কর্মকর্তারা বলেছেন, এই পরিবর্তনগুলো হলে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ আরও সহজ হবে। শাস্তি দ্বিগুণ হওয়ায় নাগরিকরা তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও যত্নশীল হবে।

মিথ্যা তথ্যের কারণে ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০১০ এর মধ্যে অসামঞ্জস্য ছিল।

নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা নীতিগতভাবে ভোটার তালিকা আইনে সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।'

বিদ্যমান ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন, হালনাগাদ বা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি বা সংশোধনের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে ৬ মাসের কারাদণ্ড, ২০০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

সংশোধনী খসড়ায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য ১ বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।

মিথ্যা তথ্য দিলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০১০ এ ১ বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে কমিশনের সভার কার্যবিবরণীতে দেখা গেছে।

ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন বা হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করলে ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধনীতে। 

বিদ্যমান আইনে একই কারণে ১ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন বা হালনাগাদের সময় দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে ১ বছরের কারাদণ্ড বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করেছে ইসি। 

বর্তমান আইনে ভোটার তালিকা প্রণয়ন বা হালনাগাদের কাজে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

নির্বাচনের জন্য ইসি প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার বা আসনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও হালনাগাদ করে। 

ইসির গণনাকারীরা সাধারণত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। মৃতদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্যও তারা তথ্য সংগ্রহ করেন।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ইসিকে ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Russia warns strike on Iran's Bushehr nuclear plant could cause 'Chernobyl-style catastrophe'

Iran and Israel traded further air attacks on Thursday as Trump kept the world guessing about whether the US would join Israel's bombardment of Iranian nuclear facilities.

17h ago