ফলাফল ঘোষণার পরও নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা পেতে পারে কমিশন

জাতীয় বাজেট ২৩-২৪
ছবি: সংগৃহীত

ফলাফলের গেজেট প্রজ্ঞাপন দেওয়ার পরও নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা রাখতে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সম্মত হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

কমিশন প্রস্তাব করেছিল, কোনো নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রমাণিত হলে কমিশন যেন তা বাতিল করতে পারে।

গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেন, 'জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) গেজেট হওয়ার পরে আর এই ক্ষমতা থাকে না। আমরা প্রস্তাবটি তৈরি করেছি যেন নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার পরেও কিছু করার ক্ষমতা রাখে।'

তিনি বলেন, 'আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি যুক্তি দিয়েছিলেন যে আরপিওর ৯১ ধারা কমিশনকে নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা দিয়েছে। তবে পরবর্তীতে তারা আমাদের যুক্তির সঙ্গে একমত হয়েছে।'

রাশিদা সুলতানা জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাইয়ের সময় সংশোধনী প্রস্তাব বাতিল করা হবে না।

সংসদে বিল হিসেবে পেশ করার আগে এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।

আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে রাশিদা সুলতানা বলেন, 'আইন মন্ত্রণালয় বলেছে যে আঙুলের ছাপ ডেটাবেজে থাকা আঙুলের ছাপের সঙ্গে না মিললেও কিছু ভোটারকে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, এটি প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন নেই।'

নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বলেছেন, বিধিমালার মাধ্যমে নির্বাচন কর্মকর্তাদের এসব ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে।'

বর্তমানে আঙ্গুলের ছাপ না মিললে প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা একটি ভোটকেন্দ্রে ১ শতাংশ পর্যন্ত ভোটারকে ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দিতে পারেন।

কয়েক মাস আগে এই বিষয়টি আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করতে বলে কমিশন।

গত বছরের ৮ আগস্ট কমিশন আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সাড়া না দেওয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর আবারও জবাব চেয়ে চিঠি দেয় কমিশন।

গত ২৭ নভেম্বর কমিশন জানায়, প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় এখনো তাদের চিঠির জবাব দেয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

2h ago