সরকারকে হয়তো টেক্কা দিতে পারবো না, কিন্তু ছাড় দেবো না: তৈমুর

‘গতকালের সব নাটক শেষ করে দেখা গেছে, অন্য সব দল সরকারের অনুকম্পা নিয়ে নির্বাচন করছে। সুতরাং একমাত্র বিরোধী দল তৃণমূল বিএনপি, যে দল বাংলাদেশে ১৪২ জন প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।’
তৈমূর আলম খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, 'বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি, কিন্তু সরকার গঠনও ঠেকানো যায়নি। বিতর্কিত নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারকেই আন্তর্জাতিক বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে এবং চুক্তি করেছে।'

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, সবসময় নির্বাচনে একেবারে ছেড়ে না দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই প্রতিরোধ একদিন পাহাড় হয়ে দাঁড়াবে। সরকারকে হয়তো টেক্কা দিতে পারবো না কিন্তু ছাড় দেবো না।'

'কিংস পার্টি' খ্যাত তৃণমূল বিএনপির এই নেতা নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ নিয়ে লড়বেন তিনি।

আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

তৈমুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'বর্তমানে দেশে একমাত্র বিরোধী দল তৃণমূল বিএনপি। জাতীয় পার্টি অনেক রঙ-ঢঙের পর সরকারি দলের অনুকম্পা নিয়ে নির্বাচন করছে। ১৪ দল তো আগেই সরকারের শরিক। গতকালের সব নাটক শেষ করে দেখা গেছে, অন্য সব দল সরকারের অনুকম্পা নিয়ে নির্বাচন করছে। সুতরাং একমাত্র বিরোধী দল তৃণমূল বিএনপি, যে দল বাংলাদেশে ১৪২ জন প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।'

'রাষ্ট্রীয় প্রশাসনযন্ত্র যদি মনে করে, পরবর্তী সরকার গঠন করার জন্য সরকারি দলকে ৩০০ আসন দেবে, এটা তারা মনে করতে পারে। আর যদি জনগণ মনে করে, একটা প্রাণবন্ত পার্লামেন্ট গঠন করতে একটা শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার, তাহলে তারা তৃণমূল বিএনপিকে ভোট দিবে', যোগ করেন তিনি।

ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, 'নির্বাচনের দিন ঘরে আরাম-আয়েশে না থেকে ভোটকেন্দ্রে আসেন। ভোট দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। যেখানে ব্যত্যয় ঘটবে সেখানে ভিডিও করবেন, ছবি তুলবেন। আমরা এইটা সোশ্যাল মিডিয়াতে পৌঁছে দেবো, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং সারা বিশ্বে এটা পৌঁছে দেবো।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এবারও যদি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো লুটপাটের নির্বাচন হয় এবং প্রতিটা এমপি তাদের এলাকায় এমপি বাহিনী গঠন করেছে, সেই এমপি বাহিনী যদি এবারও লুটপাট করে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করতে পারবেন কী পারবেন না, তা জনগণই বলবে।'

এ সময় তৈমুর আলমের সঙ্গে তার স্ত্রী হালিমা ফারজানা ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছর দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে দলটির মহাসচিব নির্বাচিত হন তৈমুর।

Comments