অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের অনাস্থা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ৭ জন সদস্য। আজ রোববার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে তারা অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এই অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগেও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ ছিল, এখনও আছে। তিনি সদস্যদের সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বয় ও পরামর্শ ছাড়াই মনগড়া পরিষদ চালাচ্ছেন।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, এলাকার জনগণের সঙ্গে এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে সাথে খারাপ আচরণ তার নিয়মিত ঘটনা।
বিভিন্ন সনদ দিতে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা আদায়, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করিয়ে অর্থ উত্তোলন ও আত্মসাৎ, ইউনিয়ন পরিষদের আয়ের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা না করে ইউপি চেয়ারম্যানের নিজে ব্যয় করার অভিযোগও করেছেন তারা।
তারা বলেন, 'নিজের অপকর্ম নিয়ে যেন মেম্বাররা কথা না বলেন, সেজন্য তিনি জনসমক্ষে তাদের সঙ্গে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করেন।'
ইউপি চেয়ারম্যানের অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদে গত ১৬ আগস্ট পরিষদের ৭ জন সদস্য এক সভার আয়োজন করে চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নেন।
অনাস্থা প্রস্তাবকারী সদস্যরা হলেন-নুর আহমদ চৌধুরী বুলবুল, আব্দুল মুজিদ, সেলিনা আক্তার, মো. সাইস্তা মিয়া, আব্দুল মুনিম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সেলিনা আক্তার।
এ ছাড়াও সদস্যরা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির ১১টি অভিযোগ করেছেন। তারা সে সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। কেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে, তাও জানি না।'
জানতে চাইলে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments