ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িতে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ,আটক ছাত্রদলের ৩ নেতাকর্মী

সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশের গণসংযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির ‘নিখোঁজ’ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনার গাড়িতে হামলা হয়েছে।
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশের গণসংযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের ‍উপদেষ্টা ও দলটির 'নিখোঁজ' সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনার গাড়িতে হামলা হয়েছে।

এছাড়াও প্রচার অভিযানে পুলিশ বাধা দেয় বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি।

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার গাড়িবহরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।

পুলিশ বলছে, এ ধরনের কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি এবং পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি।

তবে বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, লুনা ও দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচারপত্র বিতরণ করতে উপজেলায় গেলে শেরপুর থেকে দয়ামীর এলাকা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বাধার মুখে পড়েন। গোয়ালাবাজার এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণের সময় মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এ সময় লুনার গাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় কয়েকজন বিএনপি কর্মী আহত হন।

লুনা বলেন, 'আমরা প্রচারপত্র বিতরণে গোয়ালাবাজার গেলে দেখি প্রচুর পুলিশ গাড়ি দিয়ে রাস্তা ব্যারিকেড করে রেখেছে এবং পাশে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে আছে। আমি আসার পর আমার গাড়ি পাস করে দিয়েছে। আমি ব্যারিকেড ক্রস করে সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে বাজারে লিফলেট বিতরণ করে গাড়িতে ওঠার সময় হঠাৎ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার গাড়িতে হামলা করে। ড্রাইভার তখন আমাকে নিয়ে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চলে আসি।'

তবে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দাবি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গোয়ালাবাজারে একটি অনুষ্ঠানের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রচারপত্র বিলির নামে বিশৃঙ্খলা করলে তাদেরকে প্রতিহত করত গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।

উপজেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় পুলিশ ৩জনকে আটক করেছে, তবে তাদের বিরুদ্ধে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি এবং জিজ্ঞাসাবাদ বলে জানিয়েছেন ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ মাঈন উদ্দিন।

বিএনপির প্রচারাভিযানে পুলিশের বাধা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি বলেও জানান তিনি। আটককৃতরা কোন দলের কর্মী তাও তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।

আটককৃতরা হলেন ফয়সল আহমদ মিলন, নুরুল ইসলাম ও শাহেদ আহমদ। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন ফয়সল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নুরুল ও শাহেদ ছাত্রদল কর্মী।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণপত্র বিতরণের সময় এ ধরনের হামলা-গ্রেপ্তার করে বাধা দেওয়া দুঃখজনক। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি পালনে সকল মহলের সহযোগিতা চাই। তবে যত বাধাই দেয়া হোক না কেনো, আমাদের সমাবেশ সফল হবে।'

এ ব্যাপারে কথা বলতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেনের নম্বরে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

Comments