গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রায় ৬ মাস পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
গ্রামীণফোন

গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রায় ৬ মাস পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।

আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'গতকাল আমরা সিম বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চিঠি পেয়েছি।'

গত রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছিলেন, গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, 'গ্রামীণফোন গত কয়েক মাসে তাদের নেটওয়ার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে।'

টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের একদিন পর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।

গত বছরের ২৯ জুন বিটিআরসি কল ড্রপ রেট কমিয়ে আনাসহ সেবার মান উন্নত না করা পর্যন্ত গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। বিটিআরসিকে এই আদেশ জারি করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিটিআরসিকে এর আগের দিন নির্দেশনা পাঠিয়েছিল।

তবে সেবার মানের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন কীভাবে ব্যর্থ হয়েছে, সেই নির্দেশনা তা বলা হয়নি। কেমন মানদণ্ডে পৌঁছলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে, সে বিষয়েও কিছু বলা ছিল না।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এক অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেছিলেন, 'পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ওই এলাকায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ভালো ছিল না প্রধানমন্ত্রী নিজে তা প্রত্যক্ষ করেছেন।' মন্ত্রিপরিষদ সচিব ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে ডেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি, বিটিআরসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত মে মাসে গ্রামীণফোনের কল ড্রপের হার ছিল ০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দেশের মোট ৪ অপারেটরের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন এবং বিটিআরসির সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের নিচে।

Comments