ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে আজও অচলাবস্থা, ভোগান্তি

বিচারক ও নাজিরের অপসারণের দাবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজসহ ২ বিচারক ও নাজিরের অপসারণ চেয়ে জেলার সব আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। ছবি: স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজসহ ২ বিচারক ও নাজিরের অপসারণ চেয়ে জেলার সব আদালত তৃতীয় দিনের মতো বর্জন করছেন আইনজীবীরা।

আজ রোববার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার বিচারপ্রার্থী।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদালতবর্জন কর্মসূচি শুরু করেন জেলা আইনজীবী সমিতি।‌‌‌‌‌‌‌‌ এর আগে, গত বুধবার সকালে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ এনে কর্মবিরতি পালন করে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।

সবমিলিয়ে টানা ৩ দিন এখানকার বিচারাঙ্গনে অচলাবস্থা চলছে। আজও সমিতি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা।

সেখানে দাঁড়িয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঁঞা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের দুর্নীতিবাজ নাজির মোমিনুল ইসলাম চৌধুরীর অপসারণ দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'এর কারণ, আদালত প্রাঙ্গণ জাল স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি বিক্রির মাধ্যমে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে কোটি টাকা হাতানোর সঙ্গে জড়িত নাজির মমিনুল ইসলাম চৌধুরী। এই অবৈধ কার্যক্রমের বিরোধিতা করায় বিচারকরা আইনজীবীদের ওপর নাখোশ হন। দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হিসেবে ২ বিচারকের অপসারণ দাবি করছি। অপসারণ না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি চলবে।'

টানা ৩ দিন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দূর থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

জামিন শুনানির জন্য নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রাম থেকে আসা সোহেল মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ছোটভাই পাভেল মিয়াকে নারী নির্যাতনের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলায় ফাঁসানো হয়। মামলায় আমার ভাইয়ের জামিন শুনানি হওয়ার কথা। আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছি। কবে আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে এর নিশ্চয়তা না থাকায় দুশ্চিন্তায় ভুগছে আমার পরিবার।'

সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রাম থেকে আসা আলাল মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেয়েকে তার স্বামী হত্যা করেছে। গত ৩ দিন ধরে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলা নিয়ে এগোতে পারছি না।'

ছোট নাতিকে কোলে নিয়ে আজ রোববার আদালতে এসেছিলেন আলাল মিয়া। কান্নারত অবস্থায় তিনি আরও বলেন, 'মামলার কাজ শুরু করতে না করতেই আটকে গিয়েছি। জানি না মামলা কতটুকু এগিয়ে নিতে পারবো।'

Comments

The Daily Star  | English

'Election Commission shamelessly favouring a particular party'

Hasnat Abdullah says police obstructed NCP leaders and activists from entering EC building

25m ago