‘গঙ্গা বিলাস’র জন্য খনন হচ্ছে চিলমারী বন্দরের পন্টুন এলাকা

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চালু হওয়া বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার ‘গঙ্গা বিলাস’ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি আসছে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দরে। তাই খনন করা হচ্ছে চিলমারী বন্দরের পন্টুন এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ১ হাজার মিটার এলাকা।
চিলমারী বন্দরে পল্টুন এলাকা খনন কাজ চলছে। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চালু হওয়া বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার 'গঙ্গা বিলাস' আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি আসছে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দরে। তাই খনন করা হচ্ছে চিলমারী বন্দরের পন্টুন এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ১ হাজার মিটার এলাকা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এই খনন কাজ করছে।

এই খনন কাজে খরচ হবে প্রায় ৩ কোটি টাকা।

বিআইডব্লিউটিএ চিলমারী বন্দরের প্রধান পাইলট মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় বন্দরের পন্টুন শুকনো বালুচরে পড়ে যায়। তাই বন্ধ হয়ে যায় পন্টুনের ব্যবহার। বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার গঙ্গা বিলাস চিলমারী বন্দরে আসবে। তাই পন্টুনকে ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'গতকাল বুধবার বিকালে বন্দরের পন্টুনকে সচল করা হয়েছে। গঙ্গা বিলাসে সফরকারীরা এই পন্টুন ব্যবহার করে চিলমারী বন্দরে অবস্থান করবেন।'

বিআইডব্লিউটিএ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে 'গঙ্গা বিলাস'র উদ্বোধন করেন। ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে আসাম পর্যন্ত নদীপথে যাত্রা শুরু করেছে 'গঙ্গা বিলাস'।

এই প্রমোদতরীর পুরো যাত্রার ৫০ দিনের মধ্যে ১৫ দিন কাটবে বাংলাদেশে। বর্তমানে এই প্রমোদতরীটি বাংলাদেশে রয়েছে। 'গঙ্গা বিলাস' বাংলাদেশে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিচ্ছে।

'গঙ্গা বিলাস' বাংলাদেশের বাগেরহাট, হাড়বাড়িয়া, কটকা, মোরলগঞ্জ, বরিশাল, ঢাকা, সোনারগাঁও, টাঙ্গাইল, মেঘনাঘাট,  সিরাজগঞ্জ, বাহাদুরাবাদ হয়ে চিলমারী বন্দরে আসবে ১৫ ফেব্রুয়ারি।

এখান থেকে ভারতের আসামের উদ্দেশে রওনা দেবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর আসামের ধুবরি, গুয়াহাটি, তেজপুর হয়ে যাবে ডিব্রুগড়। সেখানেই যাত্রা শেষ হবে 'গঙ্গা বিলাস'র।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গঙ্গা বিলাস চিলমারী বন্দরে আসছে। এর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম এই নৌবিহারে সফরকারী পর্যটকদের দেওয়া হবে অভ্যর্থনা। পর্যটকরা রংপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন।'

Comments