স্পিডবোটে চিলমারী বন্দরে ‘গঙ্গা বিলাসের’ পর্যটকরা
ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটের কারণে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দরে নোঙর করতে পারেনি ভারতের বেনারস থেকে ছেড়ে আসা প্রমোদতরি 'গঙ্গা বিলাস'। নদের মাঝখানে রাখা হয়েছে এই প্রমোতরিটিকে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে 'গঙ্গা বিলাসের' পর্যটকরা স্পিডবোটে করে চিলমারী বন্দরের রমনা ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ-এর পন্টুনে আসেন। সেখানে তাদেরকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কাস্টমস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ।
বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করতে আজ সকালেই চিলমারী থেকে রংপুরে যান পর্যটকরা। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিলমারীতে আসে 'গঙ্গা বিলাস'।
চিলমারী বন্দরের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ-এর প্রধান পাইলট মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটের কারণে নদের মাঝখানে নোঙর করা হয়েছে প্রমোদতরি 'গঙ্গা বিলাস'। সেখান থেকে স্পিডবোটে চড়ে চিলমারী বন্দরে আসেন পর্যটকরা। চিলমারী বন্দরে বিআইডব্লিউটিএ-এর পন্টুনে স্পিডবোট আসার জন্য এক সপ্তাহ আগে নদের ১০০০ মিটার খনন করা হয়েছিল।
বিআইডব্লিউটিএ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি ভারতের বেনারস থেকে যাত্রা শুরু করে 'গঙ্গা বিলাস'। ৩ ফেব্রুয়ারি এটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। মোট ৫১ দিনের ভ্রমণে বাংলাদেশে ১৬ দিন থাকবে 'গঙ্গা বিলাস'। এ ভ্রমণে ২৭টি নদীতে মোট ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে প্রমোদতরিটি। মোট ৫০টি ট্যুরিস্ট স্পট ভ্রমণ করবেন পর্যটকরা।
প্রমোদতরি 'গঙ্গা বিলাস'র পর্যটক গাইড সেবা প্রতিষ্ঠান জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার দিনভর পর্যটকরা রংপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও পরিদর্শন করবেন। চিলমারী বন্দরে ফিরে রাতযাপন করে পরদিন শুক্রবার সকালে আসামের উদ্দেশে রওনা হবে।'
'গঙ্গা বিলাসের' চেয়ারম্যান রাজ সিং ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভ্রমণে তাদের কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। পর্যটকরা শুধু আনন্দ আর মজা করছেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও পরিদর্শন করে তুপ্তি উপভোগ করছেন।'
প্রমোদতরি গঙ্গা বিলাসে সুইজারল্যান্ড ও জার্মানির মোট ২৮ জন পর্যটক আছেন। প্রমোদতরিতে পর্যটকের বাইরেও এর মালিক, ভ্রমণ গাইডসহ ৪৪ জন ক্রু আছেন। তাদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান।
Comments