রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জের ২ রিট খারিজ

মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে করা ২টি পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির লিটনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান ও আবদুল মমিন চৌধুরী পৃথক দুই রিট করেছিলেন। আবেদনে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার গেজেটের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তারা।

আজ রিটের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন এবং আবেদনকারী এম এ আজিজ খান ও আবদুল মমিন চৌধুরী নিজেরা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

এম এ আজিজ খান আবেদনে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৯ ধারায় মো. সাহাবুদ্দিন দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার হওয়ায় তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন না এবং রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সেদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মো. সাহাবুদ্দিন প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

'নির্বাচিত' এবং 'নিযুক্ত' শব্দের অর্থ একই উল্লেখ করে আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসাবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করলে তিনি নির্বাচিত হতে পারতেন না।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ ২৪ এপ্রিল শেষ হবে। দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ থেকে ৬০ দিন আগে এই নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

EC unveils roadmap for 13th national polls

Delimitation, voter list and party registration among 24 key tasks ahead of February 2026 vote

1h ago