ঢাকার রাস্তা ফাঁকা
পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সরকারি ছুটি। ছুটির প্রথম দিনেই রাজধানীর রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে।
এ সময় গাবতলী থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, মিরপুর রোড, জাহাঙ্গীরগেট এলাকায়, বাংলামোটর. রামপুরা, বনশ্রী, মৌচাক, মগবাজার, খিলগাঁওসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে যানবাহন তেমন একটা চোখে পড়েনি।
বেসরকারি চাকরিজীবী রাসেল আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি মিরপুর থেকে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে নাবিস্কো যাই। অন্যান্য দিনে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে আজ ২০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। রাস্তা একেবারেই ফাঁকা।'
খিলগাঁও থেকে ফার্মগেটে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ইহতেশাম খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খিলগাঁও থেকে ফার্মগেটে আসতে আমার সাধারণ সময়ে প্রায় ১ ঘণ্টা লাগে। আজ ১০ মিনিটে চলে এসেছি। কোথাও কোনো সিগন্যালে দাঁড়াতে হয়নি। রাস্তায় শুধু রিকশা আর কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি দেখেছি। পাবলিক বাস ছিল খুব কম।'
ডেইলি স্টারের ফটো সাংবাদিক পলাশ খান বলেন, 'ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক একেবারই ফাঁকা দেখা গেছে। গাবতলী এলাকাতেও তেমন কোনো যানজট চোখে পড়েনি।'
আসাদগেট এলাকায় কথা হয় রিকশাচলক মো. জাফরের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'গতকাল থেকেই ঢাকা ফাঁকা হতে শুরু করেছে। আমি সাধারণ সময়ে প্রতিদিন ৮০০ টাকার মতো আয় করি। গতকাল আয় হয়েছে ৪০০ টাকার মতো। আজ সকাল থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত যাত্রী তেমন একটা পাইনি। রাস্তায় লোক নেই।'
সাভার থেকে যাত্রাবড়ী রুটে চলা লাভলী পরিবহনের সুপারভাইজার মো. সুমনের সঙ্গে ফার্মগেটে কথা হয়। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাভার থেকে প্রথম ট্রিপে যে যাত্রী নিয়ে আসি আজকে তার অর্ধেকও ছিল না। রাস্তায় যাত্রী নেই বললেই চলে।'
ঢাকার রাস্তা ফাঁকার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০ তারিখ ছুটি ঘোষণা করা এবং এ বছর মহাসড়কে মোটারসাইকেল চলার অনুমতি দেওয়ায় এই সুফল পাওয়া গেছে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের হিসাব মতে ঢাকা থেকে প্রায় ১২ লাখ মানুষ মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরবে। মোটরসাইকেল চলাচলে নিষাধাজ্ঞা দিলে এই ১২ লাখ মানুষকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। এত করে রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথে ভিড় দেখা যেত এবং এর কারণে যানজটও তৈরি হতো।'
Comments