চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৬ স্বর্ণের বার উদ্ধার, শুল্ক কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক বদলি

এ ঘটনায় সংস্থাটির চট্টগ্রাম কার্যালয়ের রাজস্ব কর্মকর্তা কে এম এম সালেমকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান কার্যালয় ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট থেকে ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিপ্তরের কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট থেকে 'পরিত্যক্ত' অবস্থায় ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় সংস্থাটির চট্টগ্রাম কার্যালয়ের রাজস্ব কর্মকর্তা কে এম এম সালেমকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান কার্যালয় ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।

স্বর্ণের এ চালানটি জব্দ করতে যৌথভাবে সিভিল এভিয়েশন, শুল্ক গোয়েন্দা ও একটি গোয়েন্দা সংস্থা অভিযান পরিচালনা করলেও তারা কেউই এ ঘটনায় জড়িত কাস্টমস কর্মকর্তার নাম বলেননি। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তারা।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় শারজাহ থেকে আগত এক যাত্রী এয়ারপোর্ট টয়লেটে গিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা কেএমএম সালেমের কাছে ৬টি স্বর্ণের বার হস্তান্তর করেন। সালেম এসব স্বর্ণের বার এয়ারপোর্ট থেকে বের করে চোরাচালান চক্রের হাতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় সিভিল এভিয়েশন ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে এয়ারপোর্টের পরিচালকের কক্ষে শুল্ক গোয়েন্দার ‍ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কয়েক ঘণ্টা আলোচনা করেছেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে রাজস্ব কর্মকর্তা কেএমএম সালেমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফকরুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনার বিস্তারিত এখনো জানতে পারিনি। তবে এয়ারপোর্টে কর্মরত একজন রাজস্ব কর্মকর্তা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আসায় ২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।'

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আসায় ওই কর্মকর্তাকে ঢাকা অফিসে তাৎক্ষণিক সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তাসনিম আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণের বার উদ্ধারের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা এ মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা রিপোর্ট জমা দেয়ার পরে আমরা তদন্ত করে দেখব।'

এ ঘটনায় কয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার হয়েছে সে বিষয়েও তিনি কিছু বলতে চাননি।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগিনদাস নামে ভারতীয় এক নাগরিককে ৯৮১ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ আটক করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। শারজাহ থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৫১ ফ্লাইটে আসা এ যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৪২১ গ্রাম অলংকার এবং গায়ে পরিহিত জামা থেকে ৫৬০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago