প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দেন প্রধানমন্ত্রী।

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে কাওলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ের ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন।

এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে সাধারণ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আগামীকাল থেকে এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট, যা যানজটের কারণে এখন প্রায় ১ ঘণ্টার মতো লাগে।

বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় পরিবহন খাতে এটাই প্রথম প্রকল্প।

সম্পূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে অর্থাৎ তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত আগামী বছরের জুনে চালু করার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।

প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কুড়িল এলাকায় একটি কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। পিপিপি প্রকল্পের ৩টি প্রাইভেট অংশীদারের মধ্যে একটি চীনা ফার্ম 'চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কর্পোরেশন' এই কন্ট্রোল সেন্টারটি পরিচালনা করবে।

কুড়িল, বনানী, মহাখালী এবং তেজগাঁও হয়ে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করবে।

পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র‌্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে ওঠা নামার জন্য মোট ১৫ টি র‍্যাম্প থাকবে। এর মধ্যে ১৩টি র‍্যাম্প আগামীকাল যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। 

এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ৩ চাকার যান ও বাইসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। অন্যান্য যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শহরের যানজট কমাতে যে দুটি এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হচ্ছে তার মধ্যে একটি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উড়ালসেতুর সম্পূর্ণ সুবিধা পেতে দুটি এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

দুটি এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকা হয়ে যাতায়াতের সময় রাজধানীর যানজট এড়ানো সম্ভব হবে। ট্রাক এবং লরি, যা এখন দিনের বেলা শহরে প্রবেশ করতে পারে না, সেগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

16h ago