সন্দ্বীপ কলোনিতে ল্যান্ডফিল স্থাপন না করার দাবি স্থানীয়দের
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ফতেয়াবাদ সন্দ্বীপ কলোনিতে ল্যান্ডফিল (বর্জ্যাগার) স্থাপন না করে অন্যত্র করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ বুধবার বিকেলে ফতেয়াবাদ সিটি করপোরেশন ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা এই দাবি জানান।
অবিলম্বে তাদের দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সমাবেশে। স্থানীয় নাগরিক সমাজ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সন্দ্বীপ কলোনির উত্তরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনস্টিটিউট, দক্ষিণে চট্টগ্রাম সেনানিবাস। এখানে বর্জ্যাগার স্থাপন হলে এলাকার পরিবেশ দূষিত হবে।পাশাপাশি পুরো চট্টগ্রাম শহরের বর্জ্যাগার শহরের এক প্রান্তে দক্ষিণ পাহাড়তলীতে পরিবহনের সময় সড়কে অস্বস্তিতে থাকবে যাত্রীরা।'
তারা বলেন,'বেশির ভাগ সময়েই খোলা ট্রাকে করে বর্জ্য পরিবহন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল বর্জ্যও থাকে। জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্য দিয়ে বর্জ্যাগারগুলো পরিবহন করতে হবে।এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং সেনানিবাসে থাকা ব্যক্তিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'
দক্ষিণ পাহাড়তলীর সন্দ্বীপ কলোনিতে এই বর্জ্যাগার স্থাপন প্রক্রিয়া বাতিল করে অন্যত্র স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে দাবি জানানো হয় সমাবেশে।
সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাফর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলী আরশাদ চৌধুরী, দক্ষিণ পাহাড়তলী বসতভিটা রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম, গাজী ইউসুফ, মো. নজরুল, আবদুল ওয়াজেদ, নাজিম উদ্দিন, গাজী তৈয়ব ও গাজী আক্কাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন দক্ষিণ পাহাড়তলীর সন্দ্বীপ কলোনিতে বর্জ্যাগার স্থাপনের জন্য গত মাসে পাঁচ একর জমি কেনে। কেনা হবে আরও ৪৫ একর। নগরের ৪১ ওয়ার্ডে দৈনিক ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে ১ হাজার ৮৩০ টন গৃহস্থালি, ৫১০ টন সড়ক ও অবকাঠামোগত এবং ৬৬০ টন মেডিকেল বর্জ্য।
Comments