আশুলিয়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষের ৩ মামলায় অজ্ঞাত আসামি দেড় হাজার

শ্রমিক আন্দোলনের সময় কারখানা ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধরের অভিযোগে অজ্ঞাত শ্রমিক ও উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে।
আশুলিয়ায় সংঘর্ষ
আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় গত ৩১ অক্টোবর আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ছবি: পলাশ খান/স্টার

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সম্প্রতি শ্রমিক আন্দোলনের সময় কারখানা ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধরের অভিযোগে অজ্ঞাত শ্রমিক ও উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।

এসব মামলায় অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে বলে আজ রোববার আশুলিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

হামলা ও ভাঙচুরের শিকার তিন কারখানা কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার এসব মামলা করে।

গত সপ্তাহে শ্রমিক আন্দোলনের সময় আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার সেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, জামগড়ার বেরন এলাকার হামীম গ্রুপের নেক্সট কালেকশন্স লিমিটেড ও ধনাইদ ইউসুফ মার্কেট এলাকার ডিসাং সোয়েটার লিমিটেডে ভাঙচুর চালানো হয়। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় গত ৩১ অক্টোবর সকালে সেইন অ্যাপারেলস কারখানায় ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকসহ বহিরাগতরা। এ ঘটনায় ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

ডিসাং সোয়েটার কারখানার করা মামলায় বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে এ কারখানাতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ অভিযোগে অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ শ্রমিক ও উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া হামীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান নেক্সট কালেকশন্স লিমিটেডে গত ৩০ অক্টোবর সকালে কারখানায় প্রবেশ করে শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর, মালামাল চুরি ও ভাঙচুর করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করার অভিযোগ এনে ৫০০-৬০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসব মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলা তিনটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।'

'আজ শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছে। কোথাও কোনো অসন্তোষ দেখা দেয়নি,' বলেন তিনি।

 

Comments