মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ, ঢাকা-গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ

বিকেল ৪টার দিকে বিক্ষোভকারীরা গাজীপুরের নাওজোর ও বাসন এলাকায় অবস্থান নিলে, এ দুই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিকেলে বিক্ষোভকারীরা নাওজোর এলাকায় অবস্থান নিলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি: স্টার

বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও গাজীপুর-টাঙ্গাইল দুই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বিক্ষোভকারীরা গাজীপুরের নাওজোর ও বাসন এলাকায় অবস্থান নিলে, এ দুই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বাসন থানার পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাওজোর বাইপাস এলাকায় যান চলাচল বন্ধ। ছবি: স্টার

তিনি জানান, এ দুই মহাসড়কে আপাতত যান চলাচল বন্ধ আছে। বাসন থানার ওসি পুলিশের একটি দল নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দূর থেকে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে। মাঝেমাঝে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হলেও, সড়কে থমথমে পরিস্থিতি দেখে আবার নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী ডেইলি স্টারকে জানান, 'নাওজোর পার হয়ে ঢাকা যেতে চাইলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা আমাকে যেতে দেয়নি। আমি নাওজোরেই আটকে আছি।'

কোনাবাড়ীর মন্ডল গ্রুপে চাকরি করেন জামান মিয়া। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি যেতে পারছি না।'

শ্রমিক বিক্ষোভের বিষয়ে মন্তব্য জানতে গাজীপুরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স) মো. ইমরান আহম্মেদকে ফোন করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

বিকেল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন পোশাকশ্রমিকরা।

কিন্তু, গতকাল সরকারের মজুরি বোর্ড মালিকপক্ষের প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয়।

তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে বেশ কিছু শ্রমিক সংগঠন। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সকালে কোনাবাড়িতে বিক্ষোভের সময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক নারী পোশাককর্মী নিহত হন।

Comments