জিএসপি প্লাস

মানবাধিকার-সুশাসনের বিষয়ে আরও কঠোর হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা। রয়টার্স ফাইল ছবি

শ্রম ও মানবাধিকার, সুশাসন ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

২০৩০ সাল থেকে ইইউর নতুন বাণিজ্য ব্যবস্থা 'জিএসপি প্লাস' চালু হওয়ার আগেই তারা এসব বিষয়ে কঠোর হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উইং) কাজী রাসেল পারভেজ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, 'ইইউর বাণিজ্য নীতির মূলে আছে অধিকার, স্থিতিশীলতা ও সুশাসন। জিএসপি প্লাসে এগুলোর ক্ষেত্রে আরও কঠোর হবে ইইউ।'

ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউর একটি প্রতিনিধিদলের পাঁচ দিনের বাংলাদেশে সফর শেষে এমন তথ্য জানালেন তিনি।

প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের শ্রম খাতের সংস্কারের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে সফরে এসেছিল। 

বাংলাদেশ বর্তমানে ইইউর এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) বাণিজ্য সুবিধার অন্তর্ভুক্ত। এ ব্যবস্থায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো ইইউর বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পায়। 

২০২২ সালে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়ে ২৪ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছায় এবং এ হিসেবে বাংলাদেশ ইবিএর সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী।

এদিকে ইইউর নতুন বাণিজ্য ব্যবস্থা জিএসপি প্লাস এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রাসেল পারভেজ বলেন, 'বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জিএসপি প্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় ৩২টি জাতিসংঘ কনভেনশন অনুমোদন করেছে। ইইউ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের শ্রম ও মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে এবং বাংলাদেশ জিএসপি প্লাসের জন্য আবেদন করার পর সরকারকে এসব বিষয়ে সংবেদনশীল হতে বলবে।'

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, ইইউ প্রতিনিধিদল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা, গণপরিসর, ট্রেড ইউনিয়নসহ মানবাধিকারের দিকগুলো নিয়েও আলাপ করেছেন।

'আমাদের এসব ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও, আরও অগ্রগতির সুযোগ আছে,' বলেন তিনি।

তিনি জানান, পররাষ্ট্র, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ইইউ, ইইউ প্রতিনিধিদলের সচিবদের নিয়ে ৩+৩ বৈঠকে মূলত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।

কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী শ্রম আইনে ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় আটটি বিধান অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিল যেগুলো হয়নি।

রাসেল পারভেজ বলেন, 'যেহেতু নিয়োগকর্তা, শ্রমিক এবং সরকারসহ ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা আছে, আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব এবং আশা করি আগামী বছরের শুরুর দিকে আইনে অন্তর্ভুক্ত করব।'

'আমরা জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী,' যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

3h ago