দেশে ফিরেছেন ত্রিপুরায় আটক ৬ নারীসহ ১২ বাংলাদেশি

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে পাচারের পর ত্রিপুরা রাজ্যে আটক ৬ নারীসহ ১২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে তাদের জরুরি সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সেলিং সেবা এবং নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।

আগরতলার সহকারী হাইকমিশন এবং ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরায় অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে ১২ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছিল। পরে স্থানীয় আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

পরে, সহকারী হাইকমিশন তাদের নাগরিকত্ব যাচাই শেষে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ করে।

দেশে ফিরেছেন-সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জবা রাণী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনার পূর্বধলার মোছা. বিউটি, চাঁদপুর জেলার নিশ্চিন্তপুরের রিয়াদ হোসেন, যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিনা বেগম ও শেখ সাদী, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহীনা বেগম, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার দুই ভাই মো. শামীম মিয়া ও মো. সোহান মিয়া, একই জেলার ইসলামপুর উপজেলার ফারুক হোসেন ও আসমা বেগম এবং ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তৃষ্ণা অধিকারী তিশা।

আগরতলার সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতীয় পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য তাদের গ্রেপ্তার করে এবং পরে আদালতের নির্দেশে তাদের সাজা দেওয়া হয়। ছয় মাস থেকে দুই বছরের জন্য তাদের স্থানীয় সিকিউরিটি হোমে রাখা হয়। দেশে ফেরাদের মধ্যে তিশাকে আগরতলার জওহরলাল নেহেরু বালিকা নিবাসে এবং বাকিদের স্থানীয় নরসিংগড় ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছিল।'

তিনি আরও বলেন, 'আজ আমরা ১২ বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করাতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের মানব পাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জনসচেতনতা জোরদার করতে হবে।'

দেশে ফিরে আসা জবা রাণী রায় ও জগদীশ রায়ের পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে দালালদের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য ভারতে প্রবেশ করেন তারা। তাদের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভারতের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Strikes on Iran mark Trump's biggest, and riskiest, foreign policy gamble

The dramatic US strike, including the targeting of Iran’s most heavily fortified nuclear installation deep underground, marks the biggest foreign policy gamble of Trump’s two presidencies and one fraught with risks and unknowns.

1h ago