সমৃদ্ধ-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র

‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং দেশটির একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।’

যুক্তরাষ্ট্র সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সমর্থন করে—রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এমন বার্তাই দিয়েছে ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদল।

মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, 'আমরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি যে আমাদের দুই দেশ কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।'

মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার।

তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসেছেন তারা।

প্রতিনিধিদল শনি ও রোববার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদসহ সুশীল সমাজের নেতা ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।

মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং দেশটির একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।

'কীভাবে আমরা ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি? ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আসা আমাদের নেতারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে—এমন একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র', দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে।

মার্কিন প্রতিনিধিদল ও সাবের হোসেন চৌধুরীর মধ্যকার বৈঠক প্রসঙ্গে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

'জলাভূমি রক্ষা ও বন সংরক্ষণের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে, বায়ুদূষণ মোকাবিলায় তরুণ জলবায়ুকর্মীদের সহায়তা করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে এই যৌথ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।'

সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদরের বৈঠক প্রসঙ্গে দূতাবাস বলেছে, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় আট বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রদান করেছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো কীভাবে সহযোগিতা করছে তা জানতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত। আমরা আগামী ৫০ বছর এবং তার পরেও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠির একটি অনুলিপি রোববার বাইডেনের বিশেষ সহকারী এইলিন লুবাখারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মূল চিঠিটি হোয়াইট হাউসে হস্তান্তর করবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

10h ago