বেনাপোল বন্দর দিয়ে টিসিবির ৪০০ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি

আজ সোমবার সকালে চালানটি খালাস দেওয়া হয়েছে
গতকাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে টিসিবির ৪০০ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে টিসিবির ৪০০ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ছোলার প্রথম চালান আমদানি করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

আজ সোমবার সকালে চালানটি খালাস দেওয়া হয়েছে।  

আমদানি ও খালাসের তথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিং।

তিনি বলেন, ছোলা আমদানির খরচ প্রতি কেজি ৮৫ টাকা পড়লেও ৪৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ৫৫ টাকায় খোলাবাজারে টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে বিক্রি করা হবে। এছাড়া রমজানের মধ্যে ছোলার পাশাপাশি ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর বিক্রি করবে টিসিবি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্রবমূল্যের অস্বাভাবিক বাজারে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার ২০২২ সালে এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে কম মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেয়। এবার রমজানে সরবরাহের জন্য বেনাপোল বন্দর দিয়ে টিসিবির ডাল ও পেঁয়াজ আমদানি চলমান আছে।

নতুন করে চার হাজার টন ছোলা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম চালানে ৪০০ টন ছোলা বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

সাধারণ ব্যবসায়ীদেরও শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচা ছোলা আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। তবে সে সুযোগের কোনো সুফল পাচ্ছে না ক্রেতারা।

গত বছরে ছোলার কেজি ৭৮ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও এবার কোনো কারণ ছাড়া তা বেড়েছে ১০০ টাকার ওপরে। অবশেষে রমজান উপলক্ষে সরকার কম মূল্যে বিক্রির জন্য টিসিবির পণ্য তালিকায় ছোলা যুক্ত করে আমদানির উদ্যোগ নেয়।

সরকারিভাবে ছোলা আমদানিতে বাজারে ছোলার দামের ঊর্ধ্বগতি কমবে বলে আশা ক্রেতাদের।

আসলাম নামে এক ক্রেতা জানান, রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম কমলে মানুষ উপকৃত হবে। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভাঙলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।

বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, রোজায় টিসিবির অর্ধেক মূল্যে পণ্য নিম্ন আয়ের মানুষ পেলে তারা খুব উপকৃত হবেন।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছোলাসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রবের আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে যাতে দ্রুত ছোলার চালান খালাস দেওয়া যায় সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

টিসিবির পরিবার কার্ডধারী একজন গ্রাহক এতদিন ৩০ টাকা কেজি দরে মাসে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারছিলেন। এর সঙ্গে এখন থেকে তিনি ৫৫ টাকা কেজি দরে এক কেজি ছোলাও কিনতে পারবেন।

Comments