বগুড়ায় থানায় পুলিশ-শহরে ট্রাফিক নেই, যানজট নিরসনে কাজ করছে ছাত্র-জনতা

‘গতকাল ছাত্রদের মধ্যে থাকা কিছু দুর্বৃত্তরা থানায় আগুন দেয়। সে সময় পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। আজ সকাল থেকে তাই আমরাই এই কাজগুলো করছি।’
বগুড়ায় থানায় পুলিশ-শহরে ট্রাফিক নেই, যানজট নিরসনে কাজ করছে ছাত্র-জনতা
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বগুড়ার সাতমাথা এলাকায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন | ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

বগুড়া শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে নেই কোনো পুলিশ বা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। যানজট নিরসনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে গতকাল হাজার হাজার মানুষ নেমে আসেন বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায়। এর মধ্যে বিক্ষুব্ধ জনতা বগুড়া সদর থানা, সদর ফাঁড়ি, ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়।

বগুড়ায় থানায় পুলিশ-শহরে ট্রাফিক নেই, যানজট নিরসনে কাজ করছে ছাত্র-জনতা
সোমবার বগুড়া সদর থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে | ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দোকানপাট খোলায় শহরের সাতমাথা এলাকায় ঘন ঘন যানজট শুরু হতে থাকে। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

সাতমাথা এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইফতেখার নূর প্রীতম। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল ছাত্রদের মধ্যে থাকা কিছু দুর্বৃত্তরা থানায় আগুন দেয়। সে সময় পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। আজ সকাল থেকে তাই আমরাই এই কাজগুলো করছি।'

বগুড়ায় থানায় পুলিশ-শহরে ট্রাফিক নেই, যানজট নিরসনে কাজ করছে ছাত্র-জনতা
সোমবার বগুড়া সদর থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে | ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

তিনি বলেন, 'বিভিন্ন জায়গায় হামলা, লুটপাট, হিন্দুদের বাড়িতে কেউ যাতে হামলা-অগ্নি সংযোগ করতে না পারে, সে জন্য আমরা দলে দলে ভাগ করে কাজ করছি। দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন করেছি আমরা। আমাদেরই এখন সংস্কার কাজ করতে হবে।'

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে শহর থেকে সব পুলিশ সদস্যদের বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

Comments