৩ দেশ থেকে আসছে চাল, দাম কমার আশা খাদ্য উপদেষ্টার

চাল
ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার, পাকিস্তান ও ভারত থেকে চাল আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। চলতি মাসের মধ্যে আমদানি করা চাল দেশের বাজারে যোগ হলে দাম কমবে বলে আশা করছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

তিনি জানিয়েছেন, চলতি মাসে অন্তত এক লাখ ৭৫ হাজার টন চাল দেশের বাজারে ঢুকবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান খাদ্য উপদেষ্টা।

ধানের মৌসুমে চালের দাম বাড়তি থাকার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় বেশ কয়েকটি জেলায় আমনের ক্ষতি হয়ে ধান উৎপাদন কমেছে। এ কারণে এই সময়ে চালের দাম সরকারের প্রত্যাশার চেয়ে একটু বেশি। এই ঘাটতি মোকাবিলা করতে সরকারিভাবে চাল আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শুল্ক প্রত্যাহারের মাধ্যমে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করছি আমরা।

'পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আনার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে' জানিয়ে তিনি বলেন, 'মিয়ানমার থেকে জি-টু-জি (দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি) ভিত্তিতে এক লাখ টন চাল আনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করব।'

আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, চালের শুল্ক ছাড় দিয়েছি, ওএমএস কার্যক্রম চলছে, সেটি আরও জোরদার করা হবে। টিসিবির অধীনে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টন চাল দেওয়া হচ্ছে। মার্চ থেকে শুরু হবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এ কর্মসূচির অধীনে ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে যারা চাল পাবেন, তারা তখন বাজারের চাল কিনবেন না, তাই চালের দাম সহনীয় থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, মজুতবিরোধী সব ধরনের আইন প্রয়োগ করতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ডিসি ও ইউএনওদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Rising gas prices threaten our investment prospects

The previous government not only turned the country into a net importer of energy, but also initiated a process to make it an import-dependent.

6h ago