একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট জালিয়াতিসহ সব অনিয়ম তদন্তের সিদ্ধান্ত

স্টার ফাইল ফটো

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ভোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন এ কথা জানান।

ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধ, অসদাচরণ, ব্যালট জালিয়াতি, আর্থিক লেনদেনসহ সব অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, 'একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে, নির্বাচনের আগের রাতে ভোট জালিয়াতি, ব্যালট জালিয়াতি, নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতির প্রতিবেদন, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন এবং প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিতে ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এসব অভিযোগ দুদকে জমা দেওয়া হয়েছে।'

'অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। তদন্ত দল ভিডিও, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, নির্বাচনের ফলাফল শিট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বিশ্লেষণ করে অনুসন্ধান চালিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেবে, ' বলেন তিনি।

ওই নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগীয়, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম করার কথা বলা হয়েছে। 

এছাড়া, এর সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র‍্যাব প্রধান বেনজির আহমেদ, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, তৎকালীন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটার্নিং অফিসার, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, থানার ওসি, জেলা ও উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Exports under strain as India slaps more restrictions

Industry insiders say the new restrictions could deepen Bangladesh's export woes at a time when global demand remains fragile and other sectors—from garments to processed foods—also face trade hurdles

46m ago