আমদানি নয়, দেশেই প্রজনন-প্রশিক্ষণ বিজিবির ডগ স্কোয়াডের

কে-৯ ইউনিটে প্রশিক্ষণরত কুকুর। ছবি: সংগৃহীত
কে-৯ ইউনিটে প্রশিক্ষণরত কুকুর। ছবি: সংগৃহীত

প্রশিক্ষিত কুকুর কেনার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এখন আর বিদেশি রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না। বিজিবি তাদের বিশেষায়িত কে-৯ ইউনিটের মাধ্যমে নিজেরাই কুকুর প্রজনন কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং গাজীপুরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেগুলোকে প্রশিক্ষণ দেবে। 

এতদিন বিজিবির কে-৯ ইউনিট সীমান্তে নিরাপত্তা অনুসন্ধান অভিযানের জন্য বিভিন্ন জাতের প্রশিক্ষিত কুকুর ভারত থেকে আমদানি করা হতো।

২০১৫ সালে বিজিবির এই ইউনিটের প্রতিষ্ঠার পর থেকে জার্মান শেফার্ড, ল্যাব্রাডর, গোল্ডেন রিট্রিভার ও রাজাপালায়ম জাতের কুকুরসহ মোট ৭৯টি কুকুর কেনা হয়। প্রতিটি কুকুরের দাম ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ছিল।

গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কক্সবাজার ব্যাটালিয়নে (৩৪ বিজিবি) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

এই অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং নবগঠিত ইউনিটগুলোর পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে বিজিবির কে-৯ ইউনিট ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম মঞ্জুর এলাহী বলেন, 'বর্তমানে দেশের ৩০টি ব্যাটালিয়নে কুকুরগুলো মোতায়েন আছে। এগুলো মূলত আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পয়েন্ট ও সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান ও বিস্ফোরক শনাক্ত ও প্রতিহতের কাজে ব্যবহার করা হয়।'

এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন একটি আলাদা ইউনিট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছে।

এই ব্যাটালিয়নের মূল তিনটি দায়িত্ব হবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ ঘটনা ও দুর্ঘটনার তদন্ত এবং ভিআইপি ও ভিভিআইপি নিরাপত্তা ও প্রটোকল নিশ্চিত করা।

গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন জানান, নতুনভাবে চালু হওয়া উখিয়া ব্যাটালিয়ন দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষা এবং মানবপাচার ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৬৪ বিজিবি (উখিয়া) ব্যাটালিয়নের পাশাপাশি মোট চারটি নতুন ব্যাটালিয়ন বিজিবিতে যুক্ত হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, এই এলাকাটি মাদক চোরাচালানের অন্যতম প্রধান রুট। পাশাপাশি এখানে রোহিঙ্গা সমস্যাও চলমান। 'সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও ব্যাটালিয়ন যুক্ত করা হবে', যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) প্রতিষ্ঠার ফলে আরও উন্নত টহল ও নজরদারি নিশ্চিত করে সীমান্ত নিরাপত্তার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।

একইসঙ্গে এটি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান উপদেষ্টা।

Comments

The Daily Star  | English

Commercial banks’ lending to govt jumps 60%

With the central bank halting direct financing by printing new notes, the government also has no option but to turn to commercial banks to meet its fiscal needs.

10h ago