চট্টগ্রাম ডিসি অফিসের নাজিরের বিরুদ্ধে পোস্টার, গ্রেপ্তার দাবি

কে বা কারা এসব পোস্টার লাগিয়েছে, তা এখনো অজানা। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নাজির মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তাকে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসনের অফিস, আদালত ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

কে বা কারা এসব পোস্টার লাগিয়েছে, তা এখনো অজানা। তবে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। 

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়ার তালুকদারপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ ফয়েজ আহমদের ছেলে জামাল ২০০৫ সালে অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগ দেন। প্রথমদিকে বিভিন্ন উপজেলার ভূমি অফিসে কাজ করলেও ২০১৯ সাল থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে জেলা নাজির পদে নিযুক্ত হন।

পোস্টারে জামালকে 'জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অর্থদাতা, দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু' আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়, তিনি বিভিন্ন নামে-বেনামে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে লিজ নিয়েছেন। 

ছবি: স্টার

জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সাবেক জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান, আবুল বাশার ফখরুজ্জামানসহ একাধিক ডিসির ঘনিষ্ঠ ছিলেন জামাল। এই ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিসি অফিসের বদলি ও পদায়নে প্রভাব খাটিয়ে আসছেন। 

এমনকি ভূমি অফিসের কর্মচারীদের বদলির ক্ষেত্রেও তার 'অনুমতি' ছাড়া কিছু হয় না বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৩ সালে জামাল, তার স্ত্রী রুমা আক্তার হোসেন ও তিন সন্তানের নামে সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে বর্তমানে দুদকের অনুসন্ধান চলছে।

বৃহস্পতিবার সকালে অফিস শুরুর আগেই কয়েকজন কর্মচারীকে পোস্টার ছিঁড়তে দেখেন কিছু প্রত্যক্ষদর্শী। 

এ বিষয়ে জামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছে, জানি না। আমার কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে করতে পারে কেউ।'

দুদকের তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটি মীমাংসিত বিষয়, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Designed to inflict high casualties

A closer look at police’s arms procurement records reveals the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

4h ago