বুলেটে নয়, ইটের আঘাতে যুবদলকর্মী শাওনের মৃত্যু: পুলিশ সুপার

মুন্সিগঞ্জের যুবদলকর্মী শহীদুল ইসলাম শাওনের (২৭) মৃত্যু বুলেটের আঘাতে নয়, ইটের আঘাতে হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের যুবদলকর্মী শহীদুল ইসলাম শাওনের (২৭) মৃত্যু বুলেটের আঘাতে নয়, ইটের আঘাতে হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।

আজ বুধবার মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত শাওনের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ দাবি করেন।

তবে, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদল ও শাওনের পরিবারের দাবি, ইটের আঘাতে নয় বরং পুলিশের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন যুবদলকর্মী শাওন। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আজ সংবাদ সম্মেলনে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার বলেন, 'সেদিন মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপির কর্মসূচিতে নিজেদের দলীয় কোন্দলের কারণে তাদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপির কর্মীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।'

এসপি মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন বলেন, 'বিএনপি নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পুলিশের ওপর বেপরোয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে যুবদলকর্মী শাওনসহ অনেকে আহত হন।'

'শাওনের সব ধরনের ডাক্তারি চিকিৎসা, সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তে পরিষ্কার বুলেটে নয়, মাথার পেছনের দিকে গুরুতর আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

এদিকে মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা এসপির বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি এবং প্রত্যক্ষদর্শী যারা আছেন, তারা সবাই দেখেছে বুলেট শাওনের মাথায় আঘাত করেছে। আমাদের কাছে যে মৃত্যুসনদ আছে তাতেও স্পষ্ট লেখা আছে গুলির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।'

মাসুদ রানা আরও বলেন, 'এই ঘটনায় যে মামলা করেছে পুলিশ তাতে আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়ি ছাড়া। সবাই গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন। আওয়ামী লীগের নেতারাও আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।'

জানতে চাইলে শাওনের ভাই সোহান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইটের আঘাতে এভাবে মৃত্যু হতে পারে না। পুলিশের গুলি মাথার একপাশ দিয়ে ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। আমাদের কাছে ডাক্তারের যে মৃত্যুসনদ আছে সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে গুলির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এখন আমাদের চাপ দিচ্ছে থানায় যেতে। কিন্তু, আমরা থানায় যেতে চাই না। মামলা বা জিডি করতে চাই না।'

Comments