সাতক্ষীরার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বহনকারী ট্রাক ঘুরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

satkhira_22oct22.jpg
ছবি: স্টার

খুলনায় অনুষ্ঠেয় সমাবেশে যাওয়ার পথে নেতা-কর্মীদের বহনকারী ট্রাক পুলিশ ঘুরিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলেছে সাতক্ষীরা পৌর বিএনপি।

তাদের আরও অভিযোগ, গত দুদিন মোটরসাইকেলে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী খুলনায় গেছেন। তবে আজ শনিবার ভোর থেকে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। জেলার বিনেরপোতা এলাকায় সাতক্ষীরা-খুলনা বাইপাস সড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। সরেজমিনে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল আরোহীরা খুলনার পথে যাচ্ছেন। তবে কয়েকটি মোটরসাইকেল সাতক্ষীরার দিকে ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে।

সাতক্ষীরা টামির্নাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লোকজন নেই বললেই চলে। খুলনাগামী কোনো যাত্রী বাস সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না। যশোরগামী যাত্রীবাহী বাস ১০ মিনিট পরপর ছাড়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা পরপর ছাড়ছে। ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকার কিংবা মাইক্রোবাসও যাচ্ছে না খুলনার উদ্দেশে।

সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শাহিন বিল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে দুটি ট্রাকে আমাদের নেতা-কর্মীরা খুলনায় যাচ্ছিলেন। বেনেরপোতা বাইপাস মোড়ে পুলিশ ট্রাক আটকায়, তারপর সাতক্ষীরার দিকে ফিরিয়ে দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের নেতা-কর্মীরা খুলনার উদ্দেশে যেতে শুরু করেছেন। সদর উপজেলা, দেবহাটা, কালীগঞ্জ, কলারোয়া ও তালা উপজেলার নেতা-কর্মীরা সড়ক পথে বাস-মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে—যে যেভাবে পেরেছে গেছে। শ্যামনগর ও আশশুনি উপজেলার নেতা-কর্মীরা নদীপথে খুলনা গেছেন।'

গত রাতে তাদের নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ মোটরসাইকেলে খুলনায় পৌঁছেছে বলে জানান শাহিন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেন, 'আমাদের টার্গেট সাতক্ষীরা থেকে ১০ হাজার নেতা-কর্মী খুলনায় গণসমাবেশে যোগ দেবে। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার নেতা-কর্মী সাতক্ষীরা থেকে নানা কৌশলে খুলনায় পৌঁছেছে। এখনো ৩-৪ হাজার কর্মী পথে রয়েছে। আশা করছি, তারা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই খুলনায় পৌঁছে যাবেন।'

সড়ক-মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ইজিবাইকসহ সব ধরনের অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতি। এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে খুলনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। তবে ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসও খুলনায় যাচ্ছে না।

মাইক্রোবাসচালক আনারুল ইসলাম জানান, খুলনায় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর হতে পারে এমন আশঙ্কায় তারা খুলনার দিকে যাচ্ছেন না।

সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক সাইফুল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, খুলনা থেকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় যাত্রীবাহী বাস যাচ্ছে না খুলনায়। তবে যশোরসহ অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল করছে। ছুটির দিন এমনিতেই যাত্রী কম থাকে, আজ আরও কম। সাতক্ষীরা থেকে যশোরে ১০ মিনিট পরপর যাত্রীবাহী বাস ছাড়া হয়। যাত্রী কম থাকায় এক ঘণ্টা পরপর  পরপর বাস ছাড়তে হচ্ছে।

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কাউয়ুম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিয়মিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে পুলিশ টহল দিচ্ছে, গাড়ি তল্লাশি করছে। তবে খুলনার পথে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এ অভিযোগ সত্য না'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago