রংপুরে বিএনপির সমাবেশে ৩ দিন আগে থেকেই আসছেন নেতা-কর্মীরা

রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট মাঠে তৈরি হচ্ছে বিএনপির সমাবেশ মঞ্চ। ছবি: কংকন কর্মকার/স্টার

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন থেকে রংপুরে বিএনপির সমাবেশস্থলে এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান (৪৬) ও রহিদুল ইসলাম (৪০)।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ট্রেনে রংপুর স্টেশনে এসে পৌঁছান তারা। স্টেশনে রাতযাপনের পর আজ সকালে এসেছেন সমাবেশস্থলে।

জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাস বন্ধের আশঙ্কা থেকে ৩ দিন আগেই প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে রংপুরে এসেছেন তারা। এভাবে তার এলাকা থেকে আরও অনেকে আসছেন বলে তিনি জানান।

স্টেশনে তারা চিড়া-মুড়ি খেয়ে রাত পার করেছেন। বাড়ি থেকে আসার সময় নিয়ে এসেছেন পানি, চিড়া ও কম্বল। ২৯ অক্টোবর রংপুরে সমাবেশ শেষে তারা বাড়ি ফিরে যাবেন।

মোস্তাফিজুরের ভাতিজা রহিদুল বলেন, 'চিড়া-মুড়ি খেয়ে হলেও থাকবো। রাতে মঞ্চের আশেপাশে কম্বল বিছিয়ে ঘুমাবো।'

ইতোমধ্যে দলের অন্যান্য নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলেও জানান মোস্তাফিজুর ও রহিদুল।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি থেকে বুধবার রাতেই এসেছেন এনামুল হক। তিনি জানান, বুধবার রাতে ফুলছড়ি থেকে রংপুরে এসেছেন। সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি রংপুরেই অবস্থান করবেন।

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে ধর্মঘট শুরু না হলেও নেতাদের আশঙ্কা যেকোনো সময় এমন ঘোষণা আসতে পারে।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু বলেন, 'এখন পর্যন্ত ধর্মঘটের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জেনেছি। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যেকোনো সময় এমন ঘোষণা আসতে পারে।'

তিনি বলেন, 'সমাবেশের আগে আমাদের নেতা-কর্মীদের আটক বা গ্রেপ্তার করা না হলেও, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের ঠিকানায় খোঁজ করছে।'

আজ সকালে ঢাকা থেকে রংপুরে এসে পৌঁছেছেন রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের দলনেতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ।

সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে হারুন অর রশীদ বলেন, 'আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা নাকি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় খেলা দেখাবেন। আমরা তো খেলা দেখছি। আগামী ২৯ অক্টোবর রংপুরে আমরাও খেলা দেখবো। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ গণসমাবেশ হবে এ দিন। যার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে, সারা দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে আছে।'

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দলীয় নেতা-কর্মীদের খোঁজ করছে— এমন অভিযোগ এনে হারুন অর রশীদ বলেন, 'যেকোনো ধরনের হয়রানি বা চক্রান্ত করে এই সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানাই, ধর্মঘট দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না।'

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর এবার রংপুরে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলায় সম্পন্ন হয়েছে প্রস্তুতি সভা।

রংপুর বিভাগের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে চলছে লিফলেট বিতরণসহ নানা প্রচারণা। সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট মাঠে তৈরি হচ্ছে সমাবেশ মঞ্চ।

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

6h ago