নারায়ণগঞ্জ

আ. লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির ২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বন্দরে আ. লীগ কার্যালয়ে হামলা চালানো হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বন্দর থানায় ছাত্রলীগ কর্মী মো. সোহেল এ মামলা করেন।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালানো হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, মামলার পর গত রাতে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তারা হলেন-বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ পনেছ (৫২), আজিজুল হক রাজীব (৪৪), সজিব হোসেন (৩৩) ও হুমায়ুন কবির বুলবুল (৫০)।

গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান দুলালের বড়ভাই এবং বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুলকে (৬০) মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে বলেন জানান তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বন্দরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কবিলের মোড়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়। আর তার সামনেই মামলার এক নম্বর আসামি আতাউর রহমান মুকুলের বাড়ি ও রাজনৈতিক কার্যালয়। গত কিছুদিন ধরে আসামিরা বাদীকে ডেকে তাদের পক্ষে কাজ করতে বলেন। বাদী ও তার দলের লোকজন এ বিষয়ে অসম্মতি জানালে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

তবে মামলার বিষয়ে বাদী মো. সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এজাহারে উল্লেখিত তথ্যের সঙ্গে তার বক্তব্যের ভিন্নতা পাওয়া যায়। 

নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করা সোহেল শনিবার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ৫-৬ জন লোক মুখ ঢেকে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায়। তারা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। অফিসের বাইরে কয়েকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলাকারীদের মুখে কাপড় বাঁধা থাকায় আসামিদের কাউকে চিনতে পারিনি।'

চিনতে না পারলেও ২৪ জনের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী সোহেল বলেন, 'আমি নিজেই মামলা করেছি। আসামিদের মুখে গেঞ্জির কাপড় ছিল বলে কারও চেহারা দেখি নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ অফিসে বিএনপির লোকজন ছাড়া আর কে হামলা করবে? আমার ধারণা বিএনপির লোকজনই হামলা করছে। ধারণা থেকেই তাদের আসামি করেছি।'

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর আমার বাসায় একটা ঘরোয়া মিটিং ছিল। আমরা কোনো হামলা-ভাঙচুর করিনি। আমরা তো এমনিতেই অন্যান্য মামলা নিয়ে দৌড়ের উপরে আছি, আমরা আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর করব কোন সাহসে? তাও আবার আমার বাড়ির সামনে অফিস।'

'এগুলো হলো নাটক সাজিয়ে বিরোধী দলকে দমানোর চেষ্টা। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে আমরা যেন ঢাকায় যেতে না পারি সেজন্য এসব নাটক সাজানো হচ্ছে সরকারি দলের পক্ষ থেকে। তবে এতে আমাদের দমানো যাবে না,' বলেন তিনি।
 

Comments

The Daily Star  | English
wheat production decline in bangladesh

With acreage and output falling, is there any prospect for wheat in Bangladesh?

Falling wheat acreage raises questions about food security amid climate change

16h ago