রাজশাহীতে সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চিত বিএনপি

রাজশাহী
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজশাহীতে আগামী ৩ ডিসেম্বর হাজী মুহাম্মদ মুহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে (যা মাদ্রাসা মাঠ হিসেবে পরিচিত) গণসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিএনপি। তবে পুলিশ মাঠটি তালাবদ্ধ করে রাখায় সমাবেশস্থল নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে দলটি।

রাজশাহীতে বিএনপির মালোপাড়া কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ সোমবার রাজশাহী জেলা ও নগর শাখার সমন্বয়ক সাহিন শওকত জানান, তাদের ভেন্যু প্রস্তুতির কাজ স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা ২৪ নভেম্বর কাজ শুরু করে এবং দুই দিন পরে পুলিশ মাঠটি তালাবদ্ধ করে দেয়।

শওকত আরও বলেন, ১২ অক্টোবর আবেদন করলেও বিএনপিকে এখনও মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পুলিশ।

'এর আগে আমরা কোন মাঠ ব্যবহার করতে যাচ্ছি সে সম্পর্কে পুলিশকে আগাম তথ্য দিয়ে সমাবেশ করেছি। কিন্তু এবার পুলিশকে জানানোর পরও আমাদের মাঠ ব্যবহার করতে দিচ্ছে না,' বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা আরও অভিযোগ করেন, বেশিরভাগ আবাসিক হোটেল মালিকরাও পুলিশের নির্দেশের বরাত দিয়ে সমাবেশের আগে তাদের বুকিং নিতে অস্বীকার করছেন।

যোগাযোগ করা হলে কয়েকজন হোটেল মালিক এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মাদ্রাসার মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে এ প্রতিবেদক দেখেন, মাঠের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ এবং ফাঁকা মাঠের ভেতরে প্রায় ডজনখানেক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

কিছু বাঁশ মাঠে মজুদ করা হয়েছে এবং ব্যানার টাঙানোর জন্য মাঠের চারপাশে কিছু বাঁশের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

কর্তব্যরত একজন পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপির লোকজন এসব কাঠামো তৈরি করলেও মাঠ ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ ঝুঁকি মূল্যায়ন করে অনুমতির জন্য সময় নিচ্ছে।

তিনি বলেন, 'আমরা এখনও ঝুঁকিগুলো মূল্যায়ন করছি কারণ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক লোকের জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'

পুলিশ সঠিক সময়ে অনুমতি দেবে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago