রাজশাহীতে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা, পুলিশের ১৭ চেকপোস্ট

রাজশাহী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

আগামী ৩ ডিসেম্বর সমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই রাজশাহী শহরে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার কারণে ৩ দিন আগেই বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজশাহী পৌঁছাতে শুরু করেছেন।

তবে অনেক নেতাকর্মীকে পুলিশ চেকপোস্ট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

রাজশাহী শহরে প্রবেশ পথসহ বিভিন্ন স্থানে ১৭টি চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহর ও আশেপাশে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আমাদের সব কর্মকাণ্ড শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আমাদের ভূমিকাকে কারো নেতিবাচকভাবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। কোনো সুবিধাবাদী গোষ্ঠী যাতে জনগণের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।'

এদিকে অনেক আবাসিক হোটেল, বেসরকারি মেস ও কমিউনিটি সেন্টারের মালিকরা বিএনপি নেতাকর্মীদের থাকতে দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। থাকার জায়গা না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

বিএনপি কর্মী আব্দুল গফুর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে বগুড়া থেকে রাজশাহীতে এসেছি। শহরে অন্য কোথাও জায়গা না পাওয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছি।'

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিএনপি কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, 'বিরোধী দলগুলোই সাধারনত হরতাল ডাকে। এখন আমরা দেখছি সরকার ধর্মঘট করছে। রাজশাহীতে তাড়াতাড়ি আসা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। ব্যাগ ভর্তি মুড়ি, চিড়া ও গুড় নিয়ে এসেছি।'

রাজশাহীতে ৮টি শর্তে সমাবেশ করার জন্য বিএনপিকে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের পক্ষে বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) মুহাম্মদ আব্দুর রকিব স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিএনপির সদস্যদের তাদের কার্যক্রম অনুমোদিত মাদ্রাসা ময়দানের মধ্যে রাখতে হবে এবং ডেকোরেটর কর্মী ছাড়া আর কেউ সমাবেশের আগে মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সমাবেশস্থল প্রস্তুত করার জন্য পুলিশ অনুষ্ঠানস্থলে শুধু ডেকোরেটর ও নির্মাণ শ্রমিকদের অনুমতি দিয়েছে। অন্যরা সমাবেশের সময়ের আগে মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না।'

থাকার জায়গা নিয়ে সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, 'স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়েছিল, কিন্তু কমিউনিটি সেন্টারের মালিকরা পুলিশের আদেশের কথা উল্লেখ করে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করতে অস্বীকৃতি জানায়। আমরা তাদের বিভিন্ন বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।'

এদিকে রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।

তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে তাদের জায়গা করে দেব। এমনকি আমরা নিজেরা না খেয়ে হলেও অতিথিদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

2h ago