‘সরকারকে অনাস্থা জানাতে সমাবেশে এসেছি’

বিএনপির রাজশাহীর গণসমাবেশে বিভাগের ৮টি জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অসংখ্য সমর্থকরাও যোগ দেন।
রাজশাহী বিএনপি গণসমাবেশ
শনিবার রাজশাহীতে মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: স্টার

বিএনপির রাজশাহীর গণসমাবেশে বিভাগের ৮টি জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অসংখ্য সমর্থকরাও যোগ দেন।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সমর্থকদের বড় একটা অংশ কৃষিজীবী। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এসব সমর্থকরাও গত চার দিন ধরে খেয়ে না খেয়ে, রাত জেগে, তাঁবু টানিয়ে অথবা খোলা মাঠে থেকেছেন। অনেকে হয়রানি এড়াতে রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে সময় পার করেছেন।

বুধবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিএনপি সমর্থকদের অনেকের সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টার কথা হয়।

তারা জানিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে সমাবেশে এসেছেন শুধু বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের আস্থা যে নেই তা জানাতে।

শনিবার সকালে শাহ মখদুম ঈদগাহের সামনে একটি বন্ধ দোকানের সামনে কথা হয় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি এলাকা থেকে আসা মোজাম্মেল হোসেন (৬০) এর সঙ্গে।

তিনি বলেন, 'দেশের অবস্থা তো ভালো নেই। সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। পরিবারের কারো চাহিদা পূরণ করতে পারি না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার এলাকায় ৯০ ভাগ লোক আওয়ামী লীগের সমর্থক। আমি সমাবেশে এসেছি জেনে তাদের কেউ কেউ নানা কথা বলেছে। আমি কাকে সমর্থন করব না করব তা নিয়ে কেন আমি কথা শুনব?'

ঈদগাহের একটি তাঁবুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়ন থেকে আসা ৬০ জন অবস্থান করছিলেন।

তাদের একজন রুহুল আমিন বলেন, 'আমাদের গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাদের অত্যাচার অসহ্য হয়ে উঠেছে। জমি দখল থেকে শুরু করে হেন অপরাধ নাই যা তারা করছে না। উপরন্ত মাদক দিয়ে গ্রামের পর গ্রাম ছেয়ে ফেলেছে।'

তার উপরে গত দুদিন ধরে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করেছে। আমাদের ও পাশের ইউনিয়নে অনেককে ধরে নিয়ে গেছে। বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি,' বলেন রুহুল আমিন।

কেন সমাবেশে আসব না বলেন, প্রশ্ন করেন তিনি।

রাজশাহীর তানোর থেকে এসেছেন রিয়াজ উদ্দিন মন্ডল। তিনি দশ বস্তা চাল সাথে নিয়ে এসেছেন।

'নিজে খাব, সঙ্গীদের খাওয়াবো। এজন্য চাল এনেছি।'

'আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার তো কেউ নেই। বিএনপি যখন দাঁড়িয়েছে তখন তাদেরকে সমর্থন জানাতে আমি এসেছি।'

Comments