ফখরুল-আব্বাসের হাইকোর্টে জামিন চাইতে অন্তত ৯ দিন অপেক্ষা

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস | ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টে জামিন চাইতে অন্তত ৯ দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ, আদালতে বর্তমানে বার্ষিক ছুটি চলছে এবং ছুটি শেষে আগামী ২ জানুয়ারি থেকে পুনরায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে।

গত ৭ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আছেন বিএনপির এই ২ নেতা।

এ মামলায় সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে ৪ বার জামিন না পাওয়া মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ও হাইকোর্টে জামিন আবেদনের সুযোগ আছে।

এর আগে, গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

বিএনপি নেতাদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আজ শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন খারিজ করা নিম্ন আদালতের আদেশের সার্টিফাইড কপি আমরা এখনো পাইনি।'

তিনি বলেন, 'সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে, গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের জামিন চেয়ে আবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বা হাইকোর্টে আবেদন করব কি না। চলমান ছুটির পর হাইকোর্ট ও ঢাকার বিচারকদের আদালত পুনরায় চালু হলে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।'

বিএনপির আইন বিষয়ক সচিব কায়সার কামাল বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত তাদের (ফখরুল ও আব্বাস) জামিন আবেদন খারিজ হয়ে গেছে, যদিও তারা এফআইআর অভিযুক্ত নয়।'

তিনি আরও বলেন, 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও বিবেচনা আইনের বিষয় বা আইনি প্রক্রিয়ায় প্রাধান্য পাচ্ছে। আমরা মনে করি, নিম্ন বিচার বিভাগ আইন অনুসরণ করছেন না, তাই তাদের জামিন আবেদন নাকচ করা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের জামিনে মুক্ত করতে দায়রা আদালত বা হাইকোর্টে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'

বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের একদিন পর গত ৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও অনেকে আহত হন। পরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় সাড়ে চারশ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরদিন তাদের ঢাকার একটি আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর গত ৯ ডিসেম্বর ভোর ৩টার দিকে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিন আবেদন নাকচ করলে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশের ওপর হামলা চালাতে দলীয় কর্মীদের প্ররোচিত করার অভিযোগে এই ২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Tarique Rahman on interim government

Interim govt must not be allowed to fail: Tarique addresses BNP rally

Thousands join BNP rally from Nayapaltan to Manik Mia Avenue

6h ago